নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল নগরীর উন্নয়ন কর্মকান্ড চলছে কচ্ছপ গতিতে। কিন্তু, বিভিন্ন খাতে টাকা বাড়ছে বিমানের গতিতে। আর, এ টাকা আদায়ে কঠোরতা প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে সিটি কর্পোরেশনের বিরুদ্ধে। নগরবাসীর উপর চাপ প্রয়োগ না করে, আয়ের খাত বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক মেয়র। বরিশাল শহরে এক ভবন মালিকের বাৎসরিক হোল্ডিং ট্যাক্স ছিল ২০ হাজার টাকা। বর্তমানে দিতে হচ্ছে ৭০ হাজার টাকা। একইভাবে আরেক ভবন মালিককে চার হাজার টাকার জায়গায় গুনতে হচ্ছে ১৬ হাজার। এখানেই শেষ নয়, পানির জন্য প্রতি তিন মাসে ১২০ টাকার বদলে দিতে হচ্ছে ছ’শ। অথচ, চাহিদার অর্ধেকও পূরন করতে পারছেনা সিটি কর্পোরেশন।
ভবন নির্মাণে পরিকল্পনা পাশের জন্য প্রতি বর্গফুট ছিল ১৯ টাকা। সেখানে করা হয়েছে ৬০ টাকা। এছাড়া, নতুন খাত হিসেবে জমির ছাড়পত্র যুক্ত করে শতাংশ প্রতি এক হাজার টাকা নির্ধারন করা হয়েছে। টিউবওয়েল বসানোর জন্য ফি ধরা হয়েছে ১৮ হাজার টাকা। বহুতল ভবনের পরিকল্পনা পাশে টাকা বাড়ানোর সাথে সাথে নতুন খাত সৃষ্টি করা হয়েছে। সেখানেও জমির পরিমান অনুযায়ী টাকা দিতে হয়। আগে এই নিয়ম ছিলনা। নগরবাসীর বোঝা না বাড়িয়ে আয়ের খাত সৃষ্টি এবং সরকার থেকে প্রকল্প আনার পরামর্শ দেন সাবেক এ মেয়র। প্যানেল মেয়র জানান, আয়ের খাত বাড়াতে আমানতগঞ্জে অত্যাধুনিক বহুতল শপিং মল নির্মানসহ একাধিক পরিকল্পনা রয়েছে। এদিকে, ট্রেড লাইসেন্সের ক্ষেত্রে ব্যবসার ধরন অনুযায়ী একই ফরম দু’শ থেকে শুরু করে আট’শ টাকা পর্যন্ত নির্ধারন করেছে। বেড়েছে বাৎসরিক ট্যাক্সও। এর সাথে নতুনভাবে যুক্ত করা হয়েছে বর্গফুট হিসেবে সাইনবোর্ড ভাড়া।
Leave a Reply