বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ বাকেরগঞ্জের ফরিদপুর ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ অত্যাচারী রাজার বিরুদ্ধে উত্তাল ফরিদপুর ইউনিয়নবাসী ঐক্যব্ধ। আওয়ামীলীগ বাঁচাও, চেয়ারম্যান শফিক-কে হটাও শ্লোগানটি সামনে রেখে ফরিদপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শফিক যাতে দলীয় মনোনয়ন না পেতে পারে সেজন্য দক্ষিণ বাংলার সিংহ পুরুষ ও বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ, বাকেরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান শামসুল আলম চুন্নু এবং সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মো. লোকমান হোসেন ডাকুয়ার সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেয়ার মধ্য দিয়ে গ্রাম-গঞ্জে, চায়ের-দোকানে, শহরে-বন্দরে সর্বত্র আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জমে ওঠেছে গ্রামীন জনপদ। আলোচনার বিষয় বস্তু হচ্ছে দীর্ঘ পাঁচ বছরে চেয়ারম্যানদের মেয়াদকালীন সময় মানুষের পাওয়া না পাওয়ার হিসাব-নিকাশ। কে ভাল কাজ করেছে, কে মন্দ কাজ করেছে এর ফিরিস্তি হিসেবে প্রত্যেকটি ইউনিয়নে বিগত বছরের তুলনায় ২০২১ সালে স্থানীয় নির্বাচনে প্রার্থী’র সংখ্যা অনেক বেশি লক্ষ্য করা যায়। ৬ নং ফরিদপুর ইউনিয়নেও এর ব্যতিক্রম নয়, ফলে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশানুযায়ী যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ১৪টি ইউনিয়নের বেশ কয়েকটিতে বর্তমান চেয়ারম্যানদের অবস্থা তুঙ্গে থাকা বৃহস্পতি বদলে গিয়ে শনিতে পরিনত হতে পারে বলে আশঙ্খা অনেকেরই। ফরিদপুর ইউনিয়নের অত্যাচারি রাজা শফি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে মাঠে নেমেছে ৪ জন হেভিওয়েট প্রার্থী। এদের মধ্যে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার চাপ্রাসী, সাংগঠনিক সম্পাদক এনায়েত হোসেন হিরন, যুবলীগ সভাপতি রাকিব হোসেন ফোরকারন, সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি ওবায়েদুল আকন। এছাড়াও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মীর আলাউদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল হাই সন্যামত, সাবেক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর মো. মহসীন, আওয়ামী লীগ নেতা ফরাদ হোসেন মোল্লা, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু, ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক বিপুল চন্দ্র দাস, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জাকির হোসেন সন্যামত, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মামুন, সহ-সভাপতি খবির গাজী, বশির খা, মহিউদ্দিন চাপ্রাসী, ১নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী, ২নং ওয়ার্ডের সভাপতি মোশারেফ হোসেন, ৩নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল সুমন, ৪নং ওয়ার্ডের সভাপতি কাওছার সন্যামত ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান প্রমুখ। ফরিদপুর ইউনিয়নের প্রতিটি মানুষ চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান শফির বিরুদ্ধে দলীয় ফরম জমা দেওয়ার পর শক্ত অবস্থানে রয়েছে ইউনিয়নবাসী। দীর্ঘ ৫ বছরে ফরিদুপুর আওয়ামী লীগের সাথে তার কোন সমপৃক্ততা ছিলো না। তিনি বেশীর ভাগ সময় বিএনপি-জামায়েত শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকত এবং তাদের সাথে প্রায়ই গোপন বৈঠক করত। এলাকার সাধারণ মানুষ তার রোষানালে পরে অনেকই জেল খেটেছে। এমনকি গরীবের হক সরকারি বরাদ্ধ থেকে বঞ্চিত হত ইউনিয়নের সাধারণ মানুষদের।
Leave a Reply