স্টাফ রিপোর্টার ॥ গৌরনদী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে গত বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত ব্যাপক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ভোট পাহারা এবং ভোট কেনা নিয়ে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও পুলিশের তাড়া খেয়ে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। গ্রেপ্তার এড়াতে আহতদের অজ্ঞাত স্থানে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান সামীম ও একই ওয়ার্ডের অপর প্রার্থী সরকারি গৌরনদী কলেজের সাবেক ভিপি ছাত্রলীগ নেতা সুমন মাহমুদের পুরনো বিরোধ রয়েছে। তবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হওয়ায় এ বিরোধটা এখন তুঙ্গে। এ বিরোধে আরো বাড়ছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কতিপয় নেতা প্রকাশ্যে ও নেপথ্যে পক্ষ্য নেয়ায়। গত বৃহস্পতিবার রাত সারে ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত ভোট পাহারা এবং ভোট কেনা নিয়ে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় থেমে থেমে ৪০ থেকে ৫০টি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দে এলাকায় আতঙ্ক ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। গৌরনদী বাসস্ট্যান্ড ও উত্তর বিজয়পুর এলাকায় দুই প্রার্থীর সমর্থকরা পাল্টাপাল্টি প্রতিবাদ মিছিল শুরু করলে হামলা-পাল্টাহামলার ঘটনায় আহত হয়েছেন কয়েকজন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুলিশের তাড়া খেয়ে পালানোর সময় মোটরসাইকেল থেকে পড়ে কয়েকজন আহত হয়েছেন। এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও উৎকণ্ঠায় আছে সাধারণ মানুষ। আওয়ামী লীগের স্থানীয় একজন প্রবীণ নেতা বলেন একটি উৎসবমুখর ভোটের পরিবেশকে নষ্ট করার জন্য যারা প্রকাশ্যে ও নেপথ্যে উসকানি দিচ্ছে তাদের বর্জন করা উচিত এবং দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেয়া উচিত। গতকাল শুক্রবার গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তৌহিদুর রহমান বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে রাতে একজন ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
Leave a Reply