এন এম দেলোয়ার, পিরোজপুর প্রতিনিধি ॥ পৌর নির্বাচন আপাতত শেষ পর্যায়ে সমগ্র বাংলাদেশের মধ্যে। আর সেই আলোকে ইউনিয়ন পর্যায়ে স্থানীয় রাজনীতির মাঠে দারুণ জমে উঠেছে চেয়ারম্যান প্রার্থীতা নিয়ে। বাদ যায়নি দৈহারী ইউনিয়নের আগাম নির্বাচনের মহড়া। গত কয়েক বছর ধরে এলাকায় নানান জল্পনা কল্পনা শুরু হয়ে গেছে। স্থানীয় রাজনীতির মাঠে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা মাঠ গরমের রাজনীতি শুরু করে দিয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডের মধ্যে চায়ের দোকানে দোকানে আড্ডায় মত্ত সাধারণ ভোটাররা। আলোচনা সমালোচনা করে যাচ্ছে যত্রতত্র ভাবে। কাঙ্ক্ষিত দিনক্ষণের হিসাব নিকাশ করার মিশনে নেমেছে স্ব স্ব ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান, সম্ভাব্য চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীরা সহ সংরক্ষিত নারী মেম্বার প্রার্থীরা।পাশাপাশি গত ৫ বছরের পুরনো রোজ নামচার হিসেব নিকেশ কষতেও শুরু করে দিয়েছে। বিধবা ভাতা সহ বয়স্ক ভাতা, ঘর দেওয়া থেকে শুরু করে ৪০ দিনের কর্মসূচীর অনিয়ম ও দূর্নীতির হিসেব করতেও দারুণ সময় পার করছে কিছু কিছু পক্ষ।শীতের মধ্যে কনকনে ঠান্ডা হাওয়া উপেক্ষা করে ইউনিয়নের বিভিন্ন চায়ের দোকানে বসছে রমরমা চায়ের আড্ডা। পাশাপাশি সর্বত্র বইছে আগাম নির্বাচনের গরম গরম কথাবার্তা সহ আলোচনা ও সমালোচনা।এদিকে স্থানীয় পর্যায়ে ইতিমধ্যে দৈহারী ইউনিয়ন পর্যায়ে বহু সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা মাঠ পর্যায়ে আনাগোনা শুরু করে দিয়েছে। স্বরূপকাঠি উপজেলার মধ্যে দৈহারী ইউনিয়ন একটি আলাদা ঐতিহ্য বহন করে আসছে। জেলার মধ্যে প্রথম নারী চেয়ারম্যান প্রগতি মন্ডল নির্বাচিত হয়ে জেলার মধ্যে একটা রেকর্ড গড়ে।এদিকে জেলা নির্বাচন সূত্রে জানা যায়, সমগ্র বাংলাদেশের মধ্যে পৌর নির্বাচনের শেষ ধাপের পর শুরু হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের দিন ক্ষণ।আগামী মার্চ এপ্রিল মাসে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন শুরু। আর সেই ধারাবাহিকতায় আমরা বলছিলাম দৈহারী ইউনিয়নে গনকপাড়া এলাকার বাসিন্দা বিপুল বিহারির সুযোগ্য পুত্র বিধান চন্দ্র মন্ডলের কথা। স্থানীয় নেতাদের মধ্যে একজন চমৎকার উদীয়মান রাজনৈতিক নেতা নিঃসন্দেহে বলা যায় বিধান চন্দ্র মন্ডল কে। কথা বার্তায় ও চলনে বলনে দারুণ মুন্সিয়ানার ছাপ রয়েছে। রাজনীতিকে সেবা মনে করে বিগত সময় থেকেই আপন মহিমায় মহিমান্বিত হয়ে নিজেকে তুলে ধরেছে ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের কাছে।আগাম প্রচার প্রচারণা চালানো শুরু করে দিয়েছে ইতিমধ্যে। বিগত সময়ে ইউনিয়ন রাজনীতিতে ১৯৯১, ৯২ ও ৯৩ সালে ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন সুনামের সাথে ছাত্র লীগের রাজনীতি করে আসছে। তাছাড়া স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করে কলেজ পর্যায়ে সকলের সুনজরে ছিলো বিধান চন্দ্র মন্ডল। বর্তমান সময়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাথে সরাসরি জড়িত রয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক হয়ে নিজেকে মেলে ধরতে সক্ষম হয়েছে স্থানীয় রাজনীতির মাঠে। পাশাপাশি করোনার কঠিন দুঃসময়ে নিজস্ব তহবিল থেকে এলাকার সাধারণ মানুষের জন্য সমর্থ অনুযায়ী ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন। অবশ্য বর্তমান সময়ে একজন চমৎকার নেতা হিসেবে নিজেকে মেলে ধরতে সক্ষম হয়েছে। আর সেই আলোকে এবারের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে নৌকার প্রতিকের পাওয়ার স্বপ্নে বিভোর।গত কয়েক বছর ধরে এলাকায় নিজ গুণাবলি দিয়ে একটা শক্ত অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। বর্তমান সময়ে শান্তি প্রিয় নেতা ও মাননীয় মন্ত্রী এ্যাড শ ম রেজাউল করিমের অতি আস্থা বাজন হয়ে নিজেকে ফুটিয়ে তুলেছে। আর সেই কারণে নৌকার টিকিট পাওয়ার যোগ্য দাবীদার বিধান চন্দ্র মন্ডল। এব্যাপারে এলাকার বেশির ভাগ ভোটাররা গণ মাধ্যম কর্মী দের জানান নিঃসন্দেহে বর্তমান সময়ে একজন চমৎকার নেতা বলা যায় বিধান কে। কথাবার্তা সহ রাজনীতির মাঠে দারুণ জনপ্রিয় বর্তমান সময়ে। অবশ্য বর্তমান সময়ে একজন সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীও বলা যায়। এ ব্যাপারে কথা হয় জেলার ও স্থানীয় গণ মাধ্যম কর্মীদের সাথে। সাদা সিদে জবাব দৈহারী ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বিধান চন্দ্র মন্ডলের। আমি ইউনিয়ন পর্যায়ে স্থানীয় রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম বিগত সময়ে। বর্তমান সময়ে দলের সমর্থন নিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষের স্বার্থে ইউনিয়ন নির্বাচনে নৌকার প্রতিকের জোর দাবিদার। এলাকার বেশির ভাগ ভোটাররা আমাকে যোগ্য মনে করেন এবং সেই আলোকে আমি জোর তদবির চালিয়ে যাচ্ছি সকলের আর্শীবাদ নিয়ে। মিডিয়ার আর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, আমার ইউনিয়নের মধ্যে তেমন কোন উন্নয়ন হয়নি। আমি যদি নৌকার প্রতিক নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী হই তাহলে আমার ইউনিয়ন কে একটা রোল মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে চেষ্টা করবো। জেলার মধ্যে আমার দৈহারী ইউনিয়ন হবে উন্নয়নের রোল মডেল। পাশাপাশি আমার ইউনিয়ন হবে শতভাগ মাদক মুক্ত ইউনিয়ন।
Leave a Reply