স্টাফ রিপোর্টার ॥ গত ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জেলার গৌরনদী পৌরসভা নির্বাচনে ৬নং ওয়ার্ডের পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী ছাত্রলীগ নেতা ও সাবেক ভিপি সুমন মাহমুদ প্রশাসনের সহযোগিতায় তার পোলিং এজেন্টকে জিম্মি করে ফলাফল পাল্টে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। এজন্য তিনি (সুমন) ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীদের ভোটের ফলাফল বর্জন করে পূনরায় ভোট গণনার দাবিতে মঙ্গলবার দুপুরে জেলা জজ আদালতে আবেদন করেছেন। সুমন মাহমুদ জানান, আদালতের বিচারক আবেদনটি আমলে নিয়ে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য জেলা প্রশাসক, জেলা রিটানিং কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা রিটানিং কর্মকর্তার কাছে ই-মেইলে নোটিশ পাঠিয়েছেন। সুমন মাহমুদ আরও জানান, পূনরায় ভোট গণনা কিংবা পুনরায় ভোট গ্রহনের দাবিতে বরিশাল জজ আদালতে দায়ের করা তার আবেদনের সঠিক বিচার না পেলে তিনি উচ্চ আদালতের স্মরনাপন্ন হবেন। এর আগে গত রবিবার বিকেলে উত্তর বিজয়পুরস্থ নিজ বাড়িতে শত শত সমর্থকদের উপস্থিতিতে সুমন মাহমুদ সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, তার বিজয় সুনিশ্চিত জেনে তাকে রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতার নির্দেশে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অফিসার, প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ভোট গণনার সময় তাকে (সুমন) জোরপূর্বক কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। পরবর্তীতে মোট কাস্টিং ভোটের চেয়ে ঘোষিত ফলাফলে বেশি ভোট দেখিয়ে সুক্ষ কারচুপির মাধ্যমে উটপাখি মার্কার ৬৬টি ভোট নষ্ট করে ২৮ ভোটের ব্যবধানে প্রতিদ্বন্ধী টেবিল লাইট মার্কার কাউন্সিলর প্রার্থী আতিকুর রহমান শামিমকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। একই অভিযোগ এনে পূণরায় ভোট গণনার দাবিতে ইতোমধ্যে সংবাদ সম্মেলনের পর আইনের আশ্রয় নেয়ার কথা জানিয়েছেন, পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী ছলেমান হাওলাদার, ৫নং ওয়ার্ডের পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী রেজাউল করিম টিটু ও ৯নং ওয়ার্ডের পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী হারুন-অর রশিদ বেপারী।
Leave a Reply