নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল নগরীর ভাটারখাল এলাকায় পূর্ব বিরোধের জের হিসাবে বেবী বেগম (৪৫) নামের এক মহিলাকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষ। এ ছাড়াও তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে গুরুত্বর জখম করা হয়েছে। বেবী বেগমকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আজ (৩) ফেব্রয়ারী বুধবার সকালে নগরীর ভাটারখাল কীর্তনলোখা নদীর পারে রফিকের চায়ের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষর্দশী ও পরিবার জানিয়েছে, প্রতিপক্ষ সুমি ওরফে গাঁজা সুমী ও তার বোন উর্মির সাথে তাদের বিরোধ চলে অসছিলো। প্রতিপক্ষ সুমী বেগম সুদে টাকা দেয় বিভিন্ন জনকে, সঠিক মেয়াদে টাকা তুলতে না পারলে ভুক্তভোগীদের বাসার সামনে গিয়ে কেরসিন ঢেলে বা ঘরের ভিরতে ঢুকে গলায় দড়ি লাগিয়ে আত্বহত্যার ভয়ভীতি দেখায়। এছাড়া তার বোন উর্মির একই এলাকার এক যুুবকের সাথে অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এ বিষয় নিয়ে এক ভুক্তভোগী বেবী বেগমকের কাছে আসলে সে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেন। কিন্তু সেটা সুমি বেগম তার বোন উর্মি মনপূর্ত হয়নি। সেই থেকে বেবী বেগমের সাথে বিরোধের সৃষ্টি। এই আলোচিত ঘটনাটি বিগত দিনে কয়েক স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। সেই ঘটনা সূত্র ধরে সুমি বেগমের ছেলে সাফিন (১৫) বেবী বেগমকে দেখে গালিগালাজ করে এসময় বেবী গালিগালাজ করতে নিষেধ করে এতে সে না শুনলে তাকে বেবী বেগম একটি চর দেয়। ঘটনাটি সাফিনের মা সুমী বেগম জানতে পেরে তার ভাই সজল, হৃদয়, সোহেল, উর্মি ও মিমের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা চালিয়ে মাথায় কুপিয় গুরুত্বর জখম ও পিটিয়ে আহত করে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন ও স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে শেবাচিমে নিয়ে যায়।
Leave a Reply