নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশালের এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয় তহবিলের অর্ধকোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, বরিশাল জেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দরখাস্ত করেছেন এক অভিভাবক। বরিশাল সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ ইউনিয়ন মোয়াজ্জেম হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক সুলতান আহমেদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির এসব অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ দিয়েছেন একই স্কুলের অভিভাবক লাবনী সিকদার। এর আগে গত মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনিবুর রহমান বরাবর অভিযোগ দিলে তিনি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমানকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শায়েস্তাবাদ ইউনিয়ন মোয়াজ্জেম হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক সুলতান আহমেদ দীর্ঘ ১৭ বছর যাবত অনিয়ম ও দুর্নীতি করে গত ১৪ জানুয়ারি অবসরে যান। কিন্তু বিধি অনুযায়ী সহকারী প্রধান শিক্ষক আফসার উদ্দিনের কাছে চার্জ না দিয়ে তাকে ছুটির আদেশ দেখিয়ে তার মনঃপূত সহকারী শিক্ষিকা শামসুন্নাহারকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দেন। কোনোভাবে তার দুর্নীতি ফাঁস হয়ে না যেতে পারে এজন্য এ প্রক্রিয়া করেন সুলতান আহমেদ। মহামারি করোনায় বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে বেতনের সঙ্গে আনুষঙ্গিক চাঁদা তোলার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। জানা যায়, গত ১৪ জানুয়ারি সুলতান আহমেদ অবসরে যাওয়ার পর এখন পর্যন্ত বিদ্যালয়ের আয়-ব্যয়ের হিসাব, খরচ ভাউচার, নগদ টাকা ব্যাংকে জমাকৃত টাকা, বিদ্যালয়ের জমির দলিল, স্টল ভাড়ার ডিডসহ যাবতীয় ডকুমেন্ট হস্তান্তর করেননি। যেখানে অর্ধকোটি টাকার বেশি অর্থ রয়েছে। এদিকে বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ দেখাশোনার দায়িত্বের অজুহাত দেখিয়ে বর্তমান অ্যাডহক কমিটির কাছ থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকার একটি ভাউচার পাস করান সুলতান আহমেদ। স্থানীয় ওয়ার্ডের (১নং ওয়ার্ড) ইউপি সদস্য কবির হোসেন তালুকদার বলেন, এই প্রধান শিক্ষক স্কুলের সব টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এমনকি শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রতিজনের কাছ থেকে ২-৩ লাখ করে টাকা নিয়েছেন। অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক সুলতান আহমেদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দেয়া হয়েছে তা সব মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। স্কুলের কোনো টাকা আমি গ্রহণ করিনি। শিক্ষকরা লেনদেন করেছেন। আর এত টাকা কোথা থেকে আসবে। মূলত আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্যই এমনটা করা হয়েছে।
Leave a Reply