বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১০নং গারুড়িয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড সাহেবপুর গ্রামে ১০ ই ফেব্রুয়ারি রাত ২ টার সময় এলাকায় দুই সন্তানের মা তার সন্তানদের সামনে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে থানায় মামলা দায়ের। মামলা সুত্রে জানাযায় সাহেবপুর গ্রামের খোকন হাং পেশাগত কাজে ঢাকায় থাকেন, ঘটনার দিন রাতে খোকন হাং স্ত্রী তার দুই সন্তানকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী বাড়িতে টিভি দেখতে গেলে সেই সুযোগে ফাঁকা ঘরে লম্পট আলাউদ্দিন নিজে আত্মগোপন করে রাখেন। সনিয়া (ছদ্মনাম) নিজ ঘরে ফিরে এসে সন্তানদের নিয়ে ঘুমিয়ে পড়তেই, হঠাৎ করে গভীর রাতে আলাউদ্দিন মীর তার মুখমন্ডল চেপে ধরে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা কর। সাথে সাথে তার হাতের কাছে থাকা টর্চ লাইট জ্বালিয়ে সে আলাউদ্দিন মীরকে চিনে ফেলেন এবং ডাকচিৎক শুরু করে। ঠিক সেই সময় ঘাতক আলাউদ্দিন মীর ঘরে খাটরে নিজে থাকা বটি দিয়ে তার সন্তানের গলায় ঠেকিয়ে ধরে এবং তাকে সন্তান হত্যার ভয় দেখিয়ে মধ্যের রুম থেকে সামনের রুমের খাটে নিয়ে তার পরিহিত পোশাক খুলে তাকে ধর্ষণ করেন। ডাকচিৎকারের বিষয়টি স্থানীয় শুনতে পাড়লে সবাই যখন ছুটে আসেন তখন আলাউদ্দিনের সহযোগী বাবুল মেম্বার তাকে গিয়ে হুমকি দিতে থাকেন বিষয়টি কাউকে জানাবে না জানালে তোকে হত্যা করা হবে, আশপাশের মানুষ এসে পৌঁছানোর আগেই ঘাতক আলাউদ্দিন মীর ও বাবুল মেম্বার ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। ঘটনার পরে একদিন তাদের বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি দেখিয়ে আলাউদ্দিন মীর ও বাবুল মেম্বার বাহিনী তাদের বাড়ির মধ্যে আটকে রাখেন। খবর পেয়ে তার স্বামী খোকন হাং ঢাকা থেকে চলে আসেন এবং গতকাল ১১ ফেব্রুয়ারি রাত এগারোটার সময় তার স্ত্রীকে নিয়ে বাকেরগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার জড়িত লম্পট আলাউদ্দিন মীরকে এক নম্বর ও বাবুল মেম্বারকে দুই নম্বর আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আলাদ্দিন মিলন জানান রাতে তারা যখন থানায় এসে তাদের অভিযোগ দায়ের করেছেন,বিষয়টি আমলে নিয়ে আমি আমার সঙ্গীয় ফোর্সদের নিয়ে বাদীসহ সাথে সাথে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই, যাওয়ার পরে অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে মামলা নেয়া হয়েছে। অপরাধী সে যত বড় শক্তিধর ও ক্ষমতাশীল হোক না কেন আইনের কাছে সে শুধু একজন অপরাধী মাত্র।
Leave a Reply