নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল সদর উপজেলার ৩ নম্বর চরবাড়িয়ায় ব্যাবসায়িক কোন্দলের জের ধরে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতিসহ ৪ জন রক্তাক্ত হয়েছে। গত সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কাউনিয়া থানাধীন আমিরগঞ্জ বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, ৩ নম্বর চরবাড়িয়া ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও আমিরগঞ্জ বাটনা এলাকার শহর আলী হাওলাদারের ছেলে ব্যবসায়ী মাসুদ হাওলাদার। মাসুদের ছেলে ইমাম হোসেন হৃদয় ও শ্যালক মন্টু আকন অপরপক্ষ পশ্চিম কাউনিয়া এলাকার সুলতানা আকনের ছেলে ব্যবসায়ী জাকির হোসেন পান্না। বর্তমানে তারা বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এদের মধ্যে মাসুদ ও হৃদয়ের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। তবে অবস্থার অবনতি হলে যেকোনো সময় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন সার্জারি ওয়ার্ডের চিকিৎসক। আহত মাসুদের স্বজনেরা জানান, আমিরগঞ্জ বাজারে গত সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে আহত মন্টুর ছেলে রিফাত আকন এবং মন্টুর ভাইয়ের ছেলে মেহেদীর মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমিরগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী জাকির হোসেন পান্না ও তার সহযোগীরা রিফাত ও মেহেদীকে অশালীন গালিগালাজ করে। একপর্যায়ে মাসুদ ও তার ছেলে হৃদয় হাওলাদার ঘটনাস্থলে আসলে তাদের সাথে ও উদ্দেশমূলকভাবে খারাপ আচরণ করতে থাকে পান্না ও তার সহযোগীরা। মাসুদ তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করলে পান্না ও তার লোকজন আরও ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। একপর্যায়ে পান্না ও তার ছেলে রক্তিম, পান্নার ভাই সোহেল, স্বপন, সুমন সুজন নোমান জিহাদ শফিকসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মাসুদকে কুপিয়ে জখম করে। তাকে বাঁচাতে ছেলে হৃদয় ও শ্যালক মন্টু আসলে তাদেরকেও কুপিয়ে-পিটিয়ে আহত করেন পান্নাসহ তাদের অন্যান্য সহযোগীরা। অপরদিকে পান্নার স্বজনরা জানান, ঘটনার দিন সোমবার রাতে দোকান থেকে বের হওয়ার সময় মাসুদসহ তার সহযোগীরা তার ওপর এ হামলা চালায়। এদিকে মাসুদের স্বজনরা আরও জানান, ঘটনা ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে ইনজুরি দেখিয়ে পান্না নাটকীয় কায়দায় শেবাচিমে ভর্তি হয়েছে। এ ঘটনায় কাউনিয়া থানায় মামলা দায়েরের অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলে স্বজনরা জানান।’
Leave a Reply