পিরোজপুর প্রতিনিধি ॥ শিক্ষক জাতির দ্বিতীয় পিতা বলা হয় সমগ্র বাংলাদেশের শিক্ষকদের। হোক সাবেক কিংবা বর্তমান শিক্ষক। আর হ্যা আমরা বলছিলাম বরিশালের অমৃত লাল মহা বিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক উজ্জ্বল কুমার মিস্ত্রীর কথা।গুয়ারেখা ইউনিয়নের গাববাড়ী নিজ এলাকায় ভানু হিসেবে চিনে সকলে। অথচ জাতির দ্বিতীয় পিতা বর্তমান সময়ে নীতিহীন কাজকর্ম করে চরম বিতর্কিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবেশী সাবেক স্কুল শিক্ষকে অনিল রঞ্জন ডাকুয়ার সাথে জায়গা জমির বিরোধ নিয়ে এক তরফা ভাবে সীমানা নির্ধারণ করে পিলার দিয়ে চরম বিতর্কিত হয়। এ ব্যাপারে এলাকার বেশির ভাগ লোকজন গণ মাধ্যম কর্মী দের জানান, গত দশ বছর আগেও একই কায়গায় অনিল ডাকুয়ার রোপিত রেনটি গাছ বিক্রি নিয়ে চরম বিতর্কিত হয়েছিল। তৎকালীন সময়ে উভয় পরিবারের সদস্যরা স্ব স্ব আমিন এনে মাপজোপ দেয়। সেই সময়ে অভিযোগকারী কলেজ শিক্ষক কাগজ পত্রের নকশা, আর এস, দাগ ও খতিয়ান অনুযায়ী রেনটি গাছের বৈধ মালিক অনিল রঞ্জন ডাকুয়া। ঐ সময়ে সীমানা নির্ধারণ অনুযায়ী উভয়ই সত্যতা মেনে নেয়। সেই সময়ে অনিলের পক্ষে আমিন ছিল সুমান্ত কুমার ও উজ্জ্বল কুমারের পক্ষে ছিল রঞ্জিত কুমার হালদার। এদিকে গত দশ বছর পর আমার সাবেক কলেজ শিক্ষক নুতন করে নোংরা মানসিকতার পরিচয় দিয়ে এলাকায় চরম বিতর্কিত হয়েছে বলে এলাকার বেশির ভাগ লোকজন জানান। গত সপ্তাহে এক তরফা ভাবে আমিন এনে সীমানা নির্ধারণ করে উভয় পরিবারের আলাপ চারিতা ছাড়াই। এক তরফা ভাবে উজ্জ্বল কুমার মিস্ত্রি পাকাপোক্ত পিলার দিয়ে স্থানীয় ভূমি আইন কে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে নিন্দিত হয়েছে সুশীল সমাজের কাছে। অথচ স্থানীয় আইনে সীমানা নির্ধারণ করতে প্রথমে বাশের কঞ্চি বা চিরাই বাশ দিয়ে প্রাথমিক ভাবে সংকেত অনুযায়ী বিপক্ষের পক্ষ কে অবগত করতে হয়। কোনো সমস্যা বা জটিল অভিযোগ না হলে উভয়ের আমিন পাকাপোক্ত পিলার দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করেন। এদিকে এলাকার সাধারণ মানুষেরা আরও বলেন, ক্ষমতার দাপটে নিজস্ব বিবেক বোধ জলাঞ্জলী দিয়ে প্রতিবেশীর বৈধ জায়গায় সীমানা নির্ধারণ পিলার দিয়ে নিন্দিত হয়েছে। এ ব্যাপারে উজ্জ্বলের পক্ষে আসা বেসরকারী সারেংকাঠীর আমিন মাসুম শেখের সাথে কথা হয় জায়গা জমির আইন বিষয়ে। মিডিয়ার কোন প্রশ্নের সঠিক জবাব দিতে পারেনি এলাকার বিতর্কিত আমিন মাসুম শেখ। তবে অবসর প্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক উজ্জ্বল কুমার মিস্ত্রির সাথে কথা হয় (০১৭১৫১৬১৪৭৩)৷ পিলারগুলো বসানো সম্পূর্ণ বেআইনি কিনা জানতে চাওয়া হলে কৌশলে প্রশ্নের জবাবএডিয়ে যান। দ্বিতীয় প্রশ্নের জবাব দশ বছর আগের মাপজোপ কি অবৈধ ছিল। কৌশলে সকল প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যায়। অপর দিকে উজ্জ্বল কুমার মিস্ত্রিরীর শিক্ষক এবং অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক অনিল রঞ্জন ডাকুয়া গণ মাধ্যম কর্মীদের জানান, গায়ের জোরে বেআইনী ভাবে সীমানা নির্ধারণ পিলার দিয়ে স্থানীয় আইন অমান্য করেছে। আমি শিক্ষক মানুষ তাই অসৎ আমিন মাসুম শেখের বিরুদ্ধে মামলা করবো। পাশাপাশি অন্যের জায়গায় সীমানা নির্ধারণী পিলার কেন দিল তার জন্য আইনানুসারে ব্যাবস্থা নিবো বলে জানান। এদিকে সমগ্র বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারের নখদর্পনে। এ ব্যাপারে এলাকার বেশির ভাগ সুশীল সমাজের লোকজন গণ মাধ্যম কর্মী দের জানান, সকলে মজা দেখে কিন্তু সঠিক স্থায়ী সমাধান কেহই দেয়না। সর্বশেষ সীমানা নির্ধারণ পিলার নিয়ে এখনো কোন রকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সৃষ্টি হয়নি। তবে যে কোন সময়ে রক্তাক্ত হতে পারে বলে অনেকে আশংকা প্রকাশ করেন।
Leave a Reply