বিদেশ ডেস্ক ॥ মানবাধিকার, যুদ্ধাপরাধ ও আন্তর্জাতিক আইনের বিশেষজ্ঞ দলের করা একটি স্বাধীন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয় চীন গণহত্যা চালিয়ে জাতিসংঘের গণহত্যা কনভেনশনের প্রতিটি ধারা লঙ্ঘন করেছে। গণহত্যার অভিযোগ প্রমাণের বহু তথ্য-উপাত্ত রয়েছে। ১৯৪৮ সালের ডিসেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভায় গণহত্যার কনভেনশনের অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে অপরাধের সুস্পষ্ট সংজ্ঞা উল্লেখ করা হয়েছে। ১৫১টি দেশের সঙ্গে চীনও এই কনভেনশনে সই করেছে। দ্বিতীয় অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘জাতিগত, নৃতাত্ত্বিক, কোন সম্প্রদায় ও ধর্মীয় গোষ্ঠীকে পুরোপুরি কিংবা আংশিক ধ্বংস করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে করা কাজই গণহত্যা। চীনের পদক্ষেপে জাতিসংঘের গণহত্যা কনভেনশনের প্রতিটি ধারার লঙ্ঘন করা হয়েছে।’ নিউলাইনের বিশেষ উদ্যোগগুলোর পরিচালক ও প্রতিবেদনের সহ-লেখক আজিম ইব্রাহীম বলেন, ‘বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তির নেতৃবৃন্দ এই গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী। গণহত্যার বিপুল তথ্য-উপাত্ত রয়েছে।’ গণহত্যার অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে এই প্রথমবার কোন বেসরকারি সংস্থা স্বাধীন আইনগত বিশ্লেষণ দিয়েছে। এমনকি অভিযোগে উঠে আসা অপরাধের কী কী দায় চীনের ওপর বর্তায় প্রতিবেদনেও তাও উল্লেখ করা হয়েছে। তবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ই বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রপন্থা প্রতিরোধে এমন বন্দিখানার দরকার আছে। গণহত্যার অভিযোগ অযৌক্তিক।’ প্রসঙ্গত, জিনজিয়াংয়ের অঞ্চলটিতে বিশাল বন্দিশিবিরে ২০ লাখের বেশি উইঘুর ও অন্যান্য মুসলমানদের আটক করে রাখা হয়েছে। তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতা হরণ, যৌন নির্যাতন, গণধর্ষণ ও বলপূর্বক সন্তান জন্মদান রোধ করে দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply