বিদেশ ডেস্ক ॥ চীন-যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেই দুই দেশের কর্মকর্তারা একে অপরের নীতির তীব্র সমালোচনা করেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ক্ষমতা গ্রহণের পর ক্ষমতাধর দুই দেশের মধ্যে এটাই প্রথম বৈঠক। বৃহস্পতিবার আলাস্কায় শুরু হওয়া দুই দিনের বিরল এই উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে আন্তজার্তিক গণমাধ্যমের সামনেই বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ। কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্র্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন তার উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য যে সকল বিধিনিষেধ রয়েছে চীনের সমস্ত কর্মকাণ্ড তা হুমকিতে ফেলেছে।’ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন চীনের কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষ কূটনৈতিক কর্মকর্তা ইয়াং জিয়াচি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়িকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জিনজিয়াংয়ে উইঘুর মুসলিমদের বিরুদ্ধে চীনের ‘গণহত্যা’ নিয়ে ওয়াশিংটনের গভীর উদ্বেগের বিষয়ে আলোচনা করবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘হংকং, তাইওয়ান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সাইবার আক্রমণসহ আমাদের মিত্রদের প্রতি চীনের অর্থনৈতিক দমননীতি নিয়েও আলোচনা হবে।’ অ্যান্টনি ব্লিংকেন এর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বেইজিংও ছিল ক্ষুরধার। চীনের কূটনীতিক কর্মকর্তা ইয়াং যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘চীন তার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের ঘোর বিরোধী। এ ধরনের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে আমরা আমাদের তীব্র আপত্তির কথা জানিয়েছি। এ বিষয়ে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নেব।’ ইয়াং তার ১৬ মিনিটের বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের ভঙ্গুর গণতন্ত্র, সংখ্যালঘুদের ওপর তাদের আচরণ এবং তাদের কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক নীতিরও কঠোর সমালোচনা করেন। চীনের এ কূটনৈতিক কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘অন্য দেশগুলোকে দমন করতেই যুক্তরাষ্ট্র সবসময় তার সামরিক শক্তি এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে।’ অতিথিদের এভাবে স্বাগত জানানো কোনভাবেই উচিত নয় বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধি দলের অংশ হিসেবে ছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন এবং দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান।অন্যদিকে, চীনের পক্ষে ছিলেন দেশটির সর্বজ্যেষ্ঠ পররাষ্ট্র কর্মকর্তা ইয়াং জিয়েচি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ঝি।
Leave a Reply