ক্রীড়া ডেস্ক ॥ চ্যাম্পিয়নস লিগের গত আসরের দুই ফাইনালিস্ট পিএসজি এবং বায়ার্ন মিউনিখ এবার কোয়ার্টার ফাইনালেই মুখোমুখি হচ্ছে। আর রিয়াল মাদ্রিদ প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে লিভারপুলকে। শুক্রবার চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার-ফাইনাল ও সেমি-ফাইনালের ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। অন্য দুই ম্যাচে মুখোমুখি হবে ম্যানচেস্টার সিটি-বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ও চেলসি-পোর্তো। গত আগস্টের ফাইনালে পিএসজিকে ১-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল বায়ার্ন। অন্যদিকে পিএসজি তাদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ইউরোপ সেরার লড়াইয়ের ফাইনালে উঠেছিল। আর এবার টানা দ্বিতীয়বারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলো ফরাসি জায়ান্টরা। কিন্তু এবার আরও এগিয়ে যেতে হলে বাভারিয়ানদের কঠিন বাধা পাড়ি দিতে হবে নেইমার-এমবাপ্পেদের। অন্যদিকে শেষ আটে মুখোমুখি হবে দুই হ্যাভিওয়েট রিয়াল ও লিভারপুল। দুই দল মিলে ১৯টি ইউরোপিয়ান কাপ দখলে রেখেছে। এর মধ্যে রিয়াল তো টুর্নামেন্টেরই সবচেয়ে সফলতম দল। কিন্তু এই মৌসুমে এই দুই জায়ান্টের অবস্থা বিশেষ সুবিধার নয়। দুই দলই নিজ নিজ লিগে বেশ চাপে আছে। এর মধ্যে লিভারপুলের টানা দ্বিতীয়বারের মতো লিগ জেতার সুযোগ পায় নেই বললেই চলে। রিয়ালের সম্ভাবনাও কমে আসছে। বাকি দুই ম্যাচেও চোখ থাকবে ফুটবলভক্তদের। কারণ ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জেতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাওয়া ম্যানচেস্টার সিটি এবার দুর্দান্ত ফর্মে আছে। অন্যদিকে আরলিং হালান্ডের দুর্দান্ত ফর্মে ভর করে এবার সেমির আশা করবে বরুশিয়া। চেলসিও এবার টমাস টুখেলের অধীনে নতুন উদ্যমে ছুটছে। লা লিগার শিরোপার দৌড়ে এগিয়ে থাকা অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদকে বিদায় করেই শেষ আটে উঠেছে তারা। ফলে অন্যতম দাবিদার হয়ে উঠতে পারে ব্লুজরাও। আসলে বার্সেলোনা ও জুভেন্টাসের মতো দুই শীর্ষ ক্লাব আগেভাগেই বাদ পড়ে যাওয়ায় প্রতিযোগিতা এবার অনেকটাই উন্মুক্ত হয়ে পড়েছে। শেষ আটের প্রথম লেগের ম্যাচগুলো মাঠে গড়াবে ৬ ও ৭ এপ্রিল। এরপর ১৩ ও ১৪ এপ্রিল ফিরতি লেগ অনুষ্ঠিত হবে। সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগ ২৭ ও ২৮ এপ্রিল। ফিরতি পর্ব হবে ৪ ও ৫ মে। ২৯ মে ইস্তানবুলে অনুষ্ঠিত হবে আসরের ফাইনাল ম্যাচ।
Leave a Reply