মুলাদী প্রতিনিধি ॥ মুলাদী উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের সেলিমপুর বাজার সংলগ্ন পাল বংশের ৩০০ বছরের পুরাতন পুকুরটি ভূমি দস্যুদের নজরে, যে পুকুরটি পুজা মন্ডবের অনুদানের পয়সা দিয়ে মাছ চাষ করা হতো, তা এখন ভুমি দস্যুদের নজর পরে বি পি সম্পত্তিতে রূপান্তর। জানা যায় মুলাদী উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের সেলিমপুর বাজার সংলগ্ন পাল বংশের ৩০০ বছর যাবৎ ভোগদখলে থাকা একটি পুকুর ব্যবহার না হওয়ায় এখন মরা পুকুরে পরিনত হয়েছে। পুকুরটি বর্তমানে ভুমি দস্যুদের নজরে থাকায় তা রেজিষ্ট্রকৃত সম্পত্তি বলে দাবী করছে একটি মহল। শুধু পুকুরটিই নয় উক্ত পাল বংশের পুজা মন্ডব মন্দির সহ আশপাশের জমিও বিভিন্ন কৌশলে দখল করার পায়তারা করে আসছে ঐ ভুমি দস্যু মহলটি। স্থানীয় ভাবে জানাগেলে আলমাছ গংরা উক্ত পুকুর সহ পাল বংশের অনেক জমি বিভিন্ন তারিখে রেজিষ্ট্রারী করিয়াছে মর্মে উক্ত দলিলের বলে পুজা মন্দিরটিতে পাল বংশের ওয়ারিশদের পূজা দিতেও বাধা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানা গেছে। গত ২০২০ সালে উক্ত মরা পুকুরটি নিয়ে আদালত হলে তদন্ত প্রতিবেদনে আলমাছ গংরা দীর্ঘ দিন যাবৎ পুকুরটি ব্যবহার করেছে বলে উল্লেখ্য করা হলেও পুকুরটি দীর্ঘ বছর যাবৎ ব্যবহারের অনুপযোগি হয়ে রয়েছে। প্রকৃত পক্ষে উক্ত পুকুরটি বর্তমানে বিপি সম্পত্তি হওয়ায় সরকারের কাছ থেকে বন্দোবস্ত নেওয়ার জন্য একাধিক দল পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। পাল বংশের ওয়ারিশগনরা দাবী করে বলেন আমাদের পূর্ব পুরুষের ব্যবহারকৃত পুকুরটি যেন তাদের নামেই বরাদ্ধ দেওয়া হয়। আমরা হিন্দু অসহায় বলে আমাদের মালিকানা সম্পত্তিই অন্যেরা জোড়পূর্বক দখল করে নিচ্ছে, আর যদি আমাদের পূর্ব পুরুষের দখলিয় সম্পত্তি তাদের নামে বরাদ্ধ করা হয় তাহলে আমার আমাদের ধর্মীয় উপাসনালয় সহ বিভামাটি হারাবো। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়ে আমলে নিয়ে হিন্দু ধর্মালম্বীদের ধর্মীয় উপাসনালয় সহ পৈত্রিক সম্পত্তি যাহাতে রক্ষা হয় সেই ব্যবস্থা গ্রহন করবেন এমনটি প্রত্যাশা অসহায় হিন্দুু পরিবারের সদস্যেদের।
Leave a Reply