বিদেশ ডেস্ক ॥ ইরাক থেকে সব সেনা সরিয়ে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে দু’দেশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট সময় জানানো হয়নি। এর আগেও যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে যে, তারা ধাপে ধাপে ইরাক থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে। খবর এএফপির। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অধীনে মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে ইরাকের ‘প্রথম কৌশলগত’ আলোচনা হয়েছে। সম্প্রতি ইরান সমর্থিত শিয়া প্যারামিলিটারি গ্রুপ প্রায় প্রতিদিনই ইরাকে বিদেশি সেনাদের বিভিন্ন ঘাঁটিতে রকেট হামলা চালাচ্ছে। ইরাক থেকে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারে বাধ্য করতেই এসব হামলা চালানো হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দু’দেশের কর্মকর্তাদের মধ্যে এক ভিডিও কনফারেন্সের পর দু’পক্ষই সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে একমত প্রকাশ করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এবং ইরাকি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুয়াদ হুসেইনের নেতৃত্বে ওই ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। তারা জানিয়েছেন, ইরাকি বাহিনী এখন আরও দায়িত্ব গ্রহণের জন্য প্রস্তুত। এক যৌথ বিবৃতিতে দু’দেশের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্র ও জোট বাহিনী এখন প্রশিক্ষণ ও পরামর্শমূলক কাজের প্রতি বিশেষভাবে মনোনিবেশ করেছে। যার ফলে ইরাক থেকে অবশিষ্ট সেনাদের নতুন করে নিয়োগের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ইরাক একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে। অপরদিকে, দীর্ঘদিন ধরেই ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বৈরি সম্পর্ক বিরাজ করছে। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে ইরানি কমান্ডার কাসেম সোলেইমানিকে হত্যা করা হয়। তারপর থেকেই উত্তেজনা বেড়ে গেছে এবং ইরাক থেকে সেনা প্রত্যাহারের দাবি আরও জোরালো হয়েছে।
Leave a Reply