নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ মাদক থেকে ফেরাতে ব্যর্থ হয়ে স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েছিলেন তার স্ত্রী। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ডিভোর্সপ্রাপ্ত নেশাখোর স্বামী আলামিন হাওলাদার হত্যার উদ্দেশ্যে তার ভ্যানচালক শ্বশুরকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে। মুমূর্ষ অবস্থায় আহত ভ্যানচালক রিপন মৃধাকে প্রথমে বরিশাল শেবাচিম ও পরে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর বৃহস্পতিবার সকালে জেলার গৌরনদী উপজেলার শরিফাবাদ গ্রামের বাড়িতে শয্যাশয়ী অবস্থায় তার (রিপন) উপর নৃশংস হামলার বর্ননা করেছেন। বর্তমানে অভাবের সংসারে অর্থাভাবে উন্নত চিকিৎসা করাতে পারছেন না রিপন মৃধা। আহত ভ্যান চালকের কন্যা সাথী আক্তার জানান, বিগত তিন বছর পূর্বে বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা কিসমত গ্রামের শাজাহান হাওলাদারের পুত্র আলামিন হাওলাদারের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর সে (সাথী) জানতে পারেন তার স্বামী আলামিন মাদক সেবনসহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত। স্বামীকে মাদক সেবন ও অপরাধ কর্মকান্ড থেকে ফেরাতে ব্যর্থ হয়ে সাথী আক্তার গত তিন মাস পূর্বে আলামিনকে ডিভোর্স দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয় নেশাখোর আলামিন। একপর্যায়ে তার (সাথী) ভ্যানচালক পিতাকে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে রাতের আধারে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর আলামিন মামলা উত্তোলনের জন্য বিভিন্ন ধরনের হুমকি অব্যাহত রেখেছে। শষ্যাশয়ী ভ্যানচালক রিপন মৃধা বলেন, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা রাতে মাহিলাড়া বাজার থেকে আগৈলঝাড়ার নিমতলা যাওয়ার জন্য তার ভ্যানে অপরিচিত দুইজন যাত্রী উঠে। পথিমধ্যে সেরাল গ্রামের নির্জন রাস্তায় বসে ওই দুই যাত্রী তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথারীভাবে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে। এসময় তার মেয়ের (সাথী) ডির্ভোস দেয়া জামাতা আলামিন মোটরসাইকেল নিয়ে নিকটে দাঁড়িয়েছিলো। একপর্যায়ে তার (রিপন) চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে ঘাতক আলামিন হামলাকারীদের মোটরসাইকেলে নিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। শরিফাবাদ গ্রামের বাসিন্দা ইউপি সদস্য মিন্টু শিকদার জানান, নৃশংস হামলার ঘটনায় আগৈলঝাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগির পরিবার। কিন্তু তদারকির অভাবে পুলিশ এখনও আসামিদের গ্রেফতার করেননি। তিনি আরও জানান, অভাবী পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি গুরুত্বর আহত হয়ে শয্যাশয়ী থাকায় একদিকে যেমন অর্থাভাবে উন্নত চিকিৎসা করাতে পারছেন না, অন্যদিকে অর্থাভাবে চরম মানবেতর জীপনযাপন করছে অসহায় ওই পরিবারটি।
Leave a Reply