মুলাদী প্রতিনিধি ॥ মুলাদীতে বিধবা ভাতা দেওয়ার নামে এক হতদরিদ্র নারীর ভিক্ষার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার কাজিরচর ইউনিয়নের চরকমিশনার (কাঠেরচর) গ্রামের মৃত খাদেম খানের পুত্র আ. রব খান দুই হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে ওই গ্রামের হতদরিদ্র তহমিনা বেগম অভিযোগ করেছেন। নিঃসন্তান তহমিনা বেগম (৬৫) কাঠেরচর গ্রামের আব্দুল মন্নান হাওলাদারের স্ত্রী। প্রায় ৩ বছর আগে তার স্বামী মারা যান। তহমিনা বেগম বলেন, স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে বিধবা ভাতা পাওয়ার আশায় এলাকার মেম্বার ও নেতাদের পেছনে ঘুরেছি। কিন্তু কেউ বিধবা ভাতা কিংবা বয়স্ক ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়নি। এলাকার মাতবর ও একটি রাজনৈতিক দলের ওয়ার্ড সভাপতি আ. রব খান বিধবা ভাতা দেওয়ার জন্য তার কাছে ৩ হাজার টাকা দাবি করেন। বিগত ঈদুল আজহার দিন বিভিন্ন বাড়ি ঘুরে তহমিনা বেগম ৪ কেজি গরুর মাংস পান। মাংস বিক্রি করে ২ হাজার টাকা তিনি আ. রব খানকে দেন। টাকা নেওয়ার ১০ মাস অতিবাহিত হলেও আ. রব খান ওই হতদরিদ্র নারীকে বিধবা ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে পারেননি। কিছুদিন আগে অসহায় নারী তার টাকা ফেরত চাইলে আ. রব খান ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানান। পরে তহমিনা বেগম বিষয়টি নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে আসলে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। এ ব্যাপারে কাজিরচর ইউপি চেয়ারম্যান মন্টু বিশ্বাস জানান, ২০২০ সালের মার্চ মাসে বিধবা ও বয়স্ক ভাতা প্রদানের জন্য ইউনিয়নের সব ওয়ার্ডে মাইকিং করা হয়েছে এবং ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তার মাধ্যমে অনলাইনে আবেদনের জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু তহমিনা বেগম স্থানীয় এক প্রতারককে টাকা দিয়ে নিশ্চিন্তে থাকায় বিধবা ভাতার জন্য অনলাইনে আবেদন করেননি। বিষয়টি জানার পর তাকে বিধবা ভাতা দেওয়ার জন্য আবেদনের প্রস্তুতি চলছে। এ ব্যাপারে আ. রব খানের বক্তব্য জানতে তার মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply