স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনার কারণে অঘোষিত লকডাউনে জরুরি পন্যবাহী যানবাহন ছাড়া বন্ধ রয়েছে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের সকল প্রকার যানবাহন চলাচল। তারপরেও থেমে নেই জেলার গৌরনদী হাইওয়ে থানা পুলিশের চাঁদাবাজি।
বছরের বারোমাসই প্রকাশ্যে গৌরনদীর চারটিস্থানে নিরাপত্তা চৌকির নামে দিনরাত সমান তালে চাঁদাবাজি করে আসছিলো হাইওয়ে থানা পুলিশ। করোনার কারণে বর্তমানে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলে মহাসড়কে চলাচল করা জরুরি পন্যবাহী যানবাহন থেকেই চলছে হাইওয়ে থানা পুলিশের রমরমা চাঁদাবাজির ঘটনা। এবার তারা সরকারী নির্দেশনার নামে ভিন্নপন্থায় চাঁদাবাজি করে আসছেন। অসংখ্য ভূক্তভোগিরা অভিযোগ করেন, হাইওয়ে থানা পুলিশ করোনায় সচেতনার নামে মহাসড়কে চলাচলরত মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক আটকের নামে নিরবে চাঁদাবাজি করে আসছেন। এছাড়া সংবাদ সংগ্রহের কাজে মোটরসাইকেলে চলাচলকরা গণমাধ্যমকর্মীরা পরিচয় দেয়া সত্বেও হাইওয়ে থানা পুলিশ প্রতিনিয়ত তাদের (গণমাধ্যম কর্মীদের) সাথে আপত্তিকর আচারন করছেন।
সূত্রমতে, শনিবার রাতে ভোলা থেকে ছেড়ে আসা এক মাছ ব্যবসায়ীর ট্রাক আটক করেন হাইওয়ে থানা পুলিশ। ভোলার ওই মাছ ব্যবসায়ী সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, রাত আনুমানিক সাড়ে নয়টার দিকে অন্যান্য মাছের সাথে ইলিশ মাছ থাকার কারনে তার ট্রাকটি আটক করেন গৌরনদী হাইওয়ে থানার এএসআই সৌমিত্র দাস। পরে তিনি (সৌমিত্র) আমার কাছে মোটা অংকের টাকা ঘুষ দাবী করেন। প্রায় দুই ঘন্টাপর রাত সাড়ে এগারোটার দিকে মাছ নষ্ট হয়ে যাবার আশঙ্কায় নিরুপায় হয়ে হাইওয়ে থানা পুলিশকে পাঁচ হাজার টাকা দেয়ার পর মাছ বোঝাই আটক ট্রাকটি ছাড়া হয়।
গৌরনদী হাইওয়ে থানার অভিযুক্ত এএসআই সৌমিত্র দাস ঘুষ লেনদেনের বিষয়টি অস্বীকার করে এ বিষয়ে রিপোর্ট না করার জন্য সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন। গৌরনদী হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ঘুষ লেনদেনের বিষয়টি আমার জানা নেই।
Leave a Reply