বিদেশ ডেস্ক ॥ কিছুদিনের মধ্যেই মার্কিন সামরিক বাহিনী আফগানিস্তান থেকে তাদের অবশিষ্ট সৈন্য প্রত্যাহারের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ অবস্থায়ও ২০টির বেশি পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দেশটিতে সক্রিয় রয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠেছে, ওয়াশিংটন কীভাবে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। সিএনএসনিউজের জন্য হোলি ম্যাকে লিখেছেন, আফগানিস্তান অসংখ্য মার্কিন মনোনীত বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠনের (এফটিও) একটি কেন্দ্র। সেখঅন থেকে মার্কিন গোয়েন্দা ও সৈন্য বেরিয়ে গেলে ট্র্যাকিং ক্ষমতার অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। এ নিয়ে বিশ্লেষক এবং বিশেষজ্ঞরা বেশ চিন্তিত। বিভিন্ন সংগঠনকে বিভক্ত করা এবং রূপান্তরিত করা সত্ত্বেও সামরিক বিশ্লেষকরা ২০১৭ সাল থেকে আফগান সরকারের বিরুদ্ধে কাজ করা ২০টিরও বেশি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে চিহ্নিত করেছে। এই গ্রুপগুলির মধ্যে অনেকগুলোকে প্রতিবেশী পাকিস্তান থেকে সমন্বয় করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে আল-কায়েদা, আইএসআইএস, হাক্কানি নেটওয়ার্কের পাশাপাশি লস্কর-ই-তৈবা, লস্কর-ই-ঝাংভি, জইশ-ই-মহম্মদ, পাকিস্তানি তালিবান (তেহরিক-ই তালিবান পাকিস্তান) এবং উজবেকিস্তানের ইসলামিক মুভমেন্ট। কাউন্টার এক্সট্রিমিজম প্রজেক্টের সিনিয়র ডিরেক্টর ড. হান্স-জ্যাকব শিন্ডলার বলেন, এই দলগুলো প্রথমে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, মধ্য এশিয়া এবং সম্ভাব্য ইরানের জন্য হুমকি স্বরূপ। তবে অবশ্যই আল-কায়েদার পাশাপাশি আইএস এখনও মার্কিন ভূখণ্ডে হামলা চালানোর জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং যে কোনো বৈশ্বিক সংঘাতঅঞ্চলে তাদের উপস্থিতি সবসময় উদ্বেগের বিষয় হবে, তিনি যোগ করেন। তবে মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ডার জেনারেল কেনেথ ম্যাকেঞ্জি গত সপ্তাহে হাউস আর্মড সার্ভিসেস কমিটিকে বলেন, ‘অফশোর, ওভার-দ্য-হরাইজন অপশন’ উল্লেখ করে কিছু সৈন্য বিস্তৃত অঞ্চলে থাকবে। তিনি আরও বলেন, কূটনীতিকরা গোয়েন্দা সম্পদের ভিত্তি হিসাবে বিস্তৃত অঞ্চলে নতুন অবস্থান খুঁজে বের করার জন্য কাজ করছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই মাসের শুরুতে বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র ১ মে আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের চূড়ান্ত সূচনা করবে এবং ১১ সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসী হামলার ২০তম বার্ষিকীর আগে তার পুলআউট শেষ করবে। বাইডেন বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র এ বছরের ১ মে থেকে চূড়ান্তভাবে সৈন্য প্রত্যাহার শুরু করবে। আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানি এর আগে বলেছিলেন, আফগানিস্তান থেকে বিদেশি বাহিনী প্রত্যাহারের ঘোষণার জন্য পাকিস্তানকে তার আফগান নীতি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অর্থাৎ পাকিস্তান বন্ধুত্ব চায় না শত্রুতা চায় তা পাকিস্তানকেই বেছে নিতে হবে। সূত্র: এএনআই
Leave a Reply