শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৪ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
তারেক রহমানের বিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি-এম. জহির উদ্দিন স্বপন গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন গৌরনদীতে ইউএনওর নেতৃত্বে স্বেচ্ছাশ্রমে খালের কুচুরিপানা ও ময়লা পরিস্কার করল বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা বর্নাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে গৌরনদীতে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত আমাদের নেতা তারেক রহমান একটি সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চান-জহির উদ্দিন স্বপন মেয়র হারিছ গ্রেপ্তারের খবরে গৌরনদীতে সাধারন মানুষের উল্লাস ফাঁসির দাবিতে বিএনপির বিক্ষাভ মিছিল গৌরনদীতে এইচপিভি টিকা দান ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন কাশিপুরের ড্রেজার ব্যবসায়ী সুমনের অপকর্মে কেউ খুন হলে দায় নেবে না বিএনপি
আফগানিস্তানে সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করেছে যুক্তরাষ্ট্র

আফগানিস্তানে সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করেছে যুক্তরাষ্ট্র

বিদেশ ডেস্ক ॥ নিরাপদে সৈন্য প্রত্যাহারের জন্য আফগানিস্তানে অতিরিক্ত শক্তি মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, আমেরিকা এবং ন্যাটো জোটের সেনাদের তালেবানের হামলা থেকে রক্ষা করতে সেখানে অতিরিক্ত সামরিক শক্তি প্রয়োগ করা হয়েছে। এছাড়া সৈন্য এবং বেসামরিক ঠিকাদারদের পাহারায় শক্তিশালী বোমারু বিমানও মোতায়েন করা হবে। গত ১ মে আফগানিস্তান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো জোট। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, এর মাধ্যমে একটি অন্তহীন যুদ্ধ শেষ হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হল। ২০ বছর ধরে আফগানিস্তানে উপস্থিতি রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো বাহিনীর। আগামী সেপ্টেম্বরের ১১ তারিখের পর্যন্ত সেনা ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলবে। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, এমন এক সময়ে সেনা প্রত্যাহার শুরু হল যখন দেশটিতে নতুন করে সংঘর্ষ বাড়তে শুরু করেছে। মার্কিন সেনা প্রত্যাহার শুরু হওয়ার দিন কয়েকের মধ্যেই আফগানিস্তানে তালেবান হামলা বেড়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র গত বছর তালেবানের সঙ্গে আলোচনাকালে নির্ধারিত সময়সীমা ১ মের মধ্যে সেনা প্রত্যাহার করতে না পারার পর থেকেই তালেবান আফগানিস্তান জুড়ে হামলা শুরু করেছে। তালেবান সতর্ক করেছে, তারা বিদেশি সৈন্যদের ওপর টার্গেট না করতে কোনো চুক্তি দ্বারা আবদ্ধ নয়। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের চেয়ারম্যান মার্ক মিলি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ২৫শ সেনা ও ১৬ হাজার বেসামরিক ঠিকাদারদের সুরক্ষায় ছয়টি বি-৫২ দীর্ঘ রেঞ্জের বোমারু বিমান এবং ১২টি এফ-১৮ যুদ্ধ বিমান মোতায়েন করা হয়েছে। জেনারেল মিলি আরও বলেন, তালেবান বিদ্রোহীরা সরকারি স্থাপনায় প্রতিদিন ৮০ থেকে ১২০টি হামলা করছে। কিন্তু গত ১ মে সৈন্য প্রত্যাহার শুরু হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র এবং জোট সেনাদের ওপর কোনো ধরনের আক্রমণ হয়নি। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়েড অস্টিন জানিয়েছেন, পরিকল্পনা অনুসারে সৈন্য প্রত্যাহার হচ্ছে। আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হেলমান্দ প্রদেশের পাশাপাশি আফগান নিরাপত্তা বাহিনী গত এক সপ্তাহ ধরে গজনি ও কান্দাহারসহ আরো অন্তত ছয়টি প্রদেশে তালেবান হামলা মোকাবিলা করেছে। হেলমান্দের প্রাদেশিক পরিষদের প্রধান আতাউল্লাহ বলেন, গত এক সপ্তাহ যাবত বিভিন্ন দিক থেকে তালেবান হামলা হয়েছে। তারা লস্কর গহর উপকণ্ঠে চেক পয়েন্টগুলোতে হামলা করেছে এবং কয়েকটি চেকপয়েন্ট দখলও করে নিয়েছে। আফগানিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থলে পাল্টা বিমান হামলা এবং এলিট কমান্ডো বাহিনীও মোতায়েন করে। এরপর তালেবান পিছু হটেছে। তবে লড়াই থামেনি। বৃহস্পতিবারও লড়াই চলেছে। এতে শতশত পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সম্প্রতি জানিয়েছেন, ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব সেনা সরিয়ে নেয়া হবে। নতুন এই সময়সীমা অনুযায়ী সেনা প্রত্যাহার শুরু হয়েছে। তালেবান গোষ্ঠী বাইডেনের ঘোষিত সেনা প্রত্যাহারের ১১ সেপ্টেম্বর সময়সীমা মেনে নেয়নি। বাইডেনের সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের সমালোচকরা বলছেন, সেনা সরিয়ে নিলে তালেবান আবার আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করবে। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহারের দুই থেকে ছয় শতাংশ কার্যক্রম শেষ করেছে। বেধে দেয়া সেপ্টেম্বরের সময়সীমা মাথায় রেখে তারা এ পর্যন্ত ৬০ পরিবহন বিমানের সমপরিমাণ মালামাল সরিয়ে নিয়েছে। মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড জানায়, সৈন্য প্রত্যাহারের ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ১৪ এপ্রিলের ঘোষণার পর থেকে ১ হাজার ৩০০টি উপকরণ ধ্বংস করে ফেলার জন্য পাঠানো হয়েছে এবং আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় হেলমান্দ প্রদেশের দুইটি সামরিক স্থাপনা আফগান সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com