পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি ॥ সারেংকাঠী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কোন নেতা বা কর্মী না হয়েও নিজেকে আওয়ামী লীগের নেতা মনে করে যা ইচ্ছে তাই করে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিধান মিস্ত্রিরীর বিরুদ্ধে। স্থানীয় রাজনীতির সূত্র জানায়, বিগত সময়ে স্থানীয় রাজনীতির মাঠে বি এন পির একজন নেতা। অথচ বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে কূটকৌশলী বুদ্ধি খাটিয়ে ওয়ার্ডের মধ্যে একজন নিখাদ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা ভাবেন নিজেকে। সারেংকাঠী ইউনিয়নের মধ্যে ২নং ওয়ার্ডের মধ্যে বসবাস। আর এবারের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে একজন মেম্বার প্রার্থীও বটে। তাই স্থানীয় রাজনীতির মাঠে সাধারণ ভোটারদের বোকা বানাতে উঠেপড়ে লেগেছে িিবধ। সাধারণ ভোটাররাও বোকা হয়ে যাচ্ছে কূটকৌশলী রাজনীতির চালে। কিন্তু এ ব্যাপারে ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি সহ সাধারণ সম্পাদক, যুবলীগের ওয়ার্ড সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক,ছাত্র লীগের ওয়ার্ড সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বিধান মিস্ত্রীর বিষয়ে কথা হয়। জেলার ও স্থানীয় গণ মাধ্যম কর্মীদের জানান ” মনের ভুলেও বিধান মিস্ত্রি আমাদের দলের কেই নয়। আমরা সকলেই অবগত বিধান মিস্ত্রী বি এন পির ইউনিয়ন নেতা। আসলে স্থানীয় নির্বাচনের মাঠে জামাত শিবিরের রাজনীতির মন্ত্র নিয়ে আমাদের ওয়ার্ডের মধ্যে প্রতারণা মূলক ভাবে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন করে যাচ্ছে যত্রতত্র ভাবে। তবে ভিন্ন কথা বলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সহ সাধারণ সম্পাদক। গণ মাধ্যম কর্মীদের অকপটে বলেন, বিধান মিস্ত্রী আমাদের দলের কোন নেতা বা কর্মী নয়। আমরা যতটুকু জানি সে বি এন পির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। তবে স্থানীয় রাজনীতির মাঠে ভোল্ট পাল্টিয়ে আওয়ামী লীগের গুণকীর্তন করে ভোট চাচ্ছে। এদিকে এলাকার বেশির ভাগ ভোটাররা গণ মাধ্যম কর্মীদের জানান, বিধান মিস্ত্রী আমাদের দলের নেতা বা কর্মীও না। তবে স্থানীয় নির্বাচনে ভোটে জয়ী হওয়ার জন্য একটা কুট কৌশলী চাল মাত্র। অবশ্য সারেংকাঠী ইউনিয়নের মধ্যে ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, আমি বি এন পির নেতার সাথে কাজ করেছি ঢাকা টু হুলারহাট লঞ্চে। আর সেই আলোকে বি এন পির নেতার সাথে উঠাবসা। আসলে আমি আওয়ামী লীগের লোক। মিডিয়ার আর এক প্রশ্ন বিধান মিস্ত্রীকে। আপনি বি এন পির শীর্ষ নেতাদের ছবি ব্যাবহার করে বহু প্রচার করেছেন বিগত সময়ে আর এটা কি সত্য কিনা? গন মাধ্যম কর্মীদের এপ্রশ্ন শুনে হতভম্ব হয়ে যায়। কোন রকম ভনিতা করার সুযোগ পায়নি। তবে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে একই কথা আমি আওয়ামী লীগের লোক। এ ব্যাপারে স্থানীয় যুব লীগের এক শীর্ষ নেতা বলেন, নির্বাচন করার অধিকার সকলের আছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের কর্মী না হয়েও স্থানীয় ওয়ার্ডের রাজনীতির মাঠে আওয়ামী লীগের মাঠে দ্বন্দ্ব শুরু করে দিয়েছে। ঠান্ডা মাথায় জামাত শিবিরের রাজনীতির মন্ত্র চালু করে দিয়েছে সুকৌশলে। এ ব্যাপারে স্থানীয় মেম্বার মোঃ আব্দুর রহিম আবির গণ মাধ্যম কর্মী দের বলেন,রাজনীতি করার অধিকার সকলের আছে। তবে আমার জানামতে সে কখনোই স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিল না। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন কমিশনারের সাথে কথা হয়। তিনি অকপটে বলেন সকল প্রার্থীর স্ব স্ব দলের সাপোর্ট আছে। কিন্তু বিনা কারণে কারও প্রমান ছাড়া অপপ্রচার চালানো ঠিক নয়। স্থানীয় পর্যায়ে বিশেষ করে মেম্বার প্রার্থীর নির্বাচনে যে যেভাবে পারে নির্বাচন করে। হয়তো বিধান মিস্ত্রী বি এন পির নেতা কিন্তু ভোট রাজনীতির মাঠে সরকারের গুণকীর্তন করে ভোট আদায়ের মিশনে নেমেছে।এটা তার হয়তো নির্বাচনী প্রচারণার কৌশল। তবে কাউকেই মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে প্রচারণা করা ঠিক নয়।
Leave a Reply