আগৈলঝাড়া প্রতিনিধি ॥ সূর্য তেজদীপ্ত উদিত হয়ে বরিশালের আগৈলঝাড়ায় তীব্র তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে। সেই সাথে ঘণ ঘণ লোডশেডিংয়ের কারণে জীবনযাত্রাকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষ রয়েছে সীমাহীন ভোগান্তিতে। দিনের বেলায় রোদের কারণে বাসা-বাড়ি থেকে বের হওয়া যেন কষ্টকর হয়ে পরেছে। গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা অব্যাহতভাবে বেড়েই চলেছে। দিনে যেমন রোদের খরতাপ তেমনি রাতে বইছে গরম হাওয়া। ফলে অফিসগামী মানুষ, শ্রমিক, শিক্ষার্থী এবং শিশুরা তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে পরেছে। জৈষ্ঠ্যের প্রখর তাপদাহের অস্বস্তিতে পরেছে শ্রমজীবী মানুষ। শুধু মানুষ নয়, গোটা প্রাণীকূলও দাবদাহ থেকে রক্ষা পেতে স্বস্তির জায়গা খুঁজছে। এমন পরিস্থিতিতে বরিশাল আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, তাপ আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে। উপজেলার গৈলা এলাকার পথচারী ও ব্যবসায়ী চিত্ত ঘরামী, জসিম উদ্দিন, খোকন তালুকদার সোমবার দুপুরে বলেন, প্রচন্ড গরমে রাস্তাঘাট ফাঁকা। গাড়িও চলছে কম। দোকানেও ক্রেতা না আসায় বেঁচা কেনা কম হচ্ছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে নাজুক হয়ে পরেছে স্বাভাবিক কাজকর্ম। উপজেলার সদর বাজার, গৈলা বাজার, রথখোলা ষ্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন স্থানে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, প্রচন্ড গরমের উত্তাপে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। তপ্ত রোদ মাথায় নিয়েই পেটের টানে রিস্কা, ভান, ইজিবাইক ও মাহিন্দ্রা নিয়ে ছুটে এসেছেন এসব ষ্ট্যান্ডে। খেটে খাওয়া এসব মানুষ ভাড়ার ফাঁকে সময় পেলেই গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিচ্ছেন। বরিশাল আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক আনিছুর রহমান বলেন, এ অঞ্চলে বর্তমানে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রবিবার বিভাগে দেশের সর্বোচ্চ ৩৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা ও সোমবার ৩৭ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছে। এভাবে তাপদাহ বাড়লে যে কোন সময় বৃষ্টিসহ কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন এই আবহাওয়াবিদ।
Leave a Reply