বিদেশ ডেস্ক ॥ টানা ১১ দিনের সংঘাতের পর শর্তহীন যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের গাজা নিয়ন্ত্রণকারী হামাস। বৃহস্পতিবার রাতে দীর্ঘ বৈঠক শেষে ভোটাভুটির মাধ্যমে যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তে পৌঁছান ইসরায়েলের নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিসভার সদস্যরা। এরপর হামাসের পক্ষ থেকেও একই সিদ্ধান্ত জানানো হয়। স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ২টা থেকে এ দ্বীপক্ষীয় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বর্বরতার বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে তেল আবিব অবশেষে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলো। একে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, মিসরসহ অনেক দেশ। খবর ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, বিবিসি, আলজাজিরা, রয়টার্স ও এএফপির ফিলিস্তিনের এক কর্মকর্তা বলেছেন, কয়েক দশক ধরে তীব্র লড়াইয়ের অবসান রোধ করা সম্ভব হচ্ছে। ইসরায়েলের নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিসভা বলছে, মন্ত্রপরিষদ সদস্যরা মধ্যস্থতাকারী মিশরের প্রস্তাবিত ‘দ্বীপক্ষীয় ও শর্তহীনভাবে’ গাজা যুদ্ধে সাময়িক বিরতির পক্ষে সর্বসম্মতভাবে ভোট দিয়েছেন। এর আগে ইসরায়েলের নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির প্রত্যাশিত শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক শুরু হয়। তখনই আভাস পাওয়া যায় ইসরায়েলের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতির সম্মতি আসছে। এতে গাজায় ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা হয়। পূর্ব জেরুজালেমে আল-আকসা মসজিদ চত্বরে ইসরায়েলি পুলিশের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের সংঘর্ষের জের ধরে ১১ দিন ধরে ইসরায়েল ও গাজা নিয়ন্ত্রণকারী হামাসের পাল্টাপাল্টি হামলা চলছে। গাজা থেকে ইসরায়েলের দিকে রকেট ছোড়ার কথা জানিয়ে গত ১০ মার্চ রাত থেকে অধিকৃত এই উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের স্থাপনায় বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ২৩২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অর্ধশতাধিক শিশু রয়েছে। অপর দিকে ইসরায়েলে হামাসের ছোড়া রকেটে ১৩ জন নিহত হয়েছেন। এই রক্তপাত বন্ধে বিভিন্ন দেশ আহ্বান জানালেও তাতে সাড়া দিচ্ছিল না ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বুধবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ফোন করে সহিংসতা প্রশমনের কথা বলেন। তবে এরপরও নেতানিয়াহু হামলা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
Leave a Reply