উজিরপুর প্রতিনিধি ॥ উজিরপুরে দিনব্যাপী ব্যাপক আয়োজনে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে উপজেলা প্রাণিসম্পদ ও ভ্যাটারিনারী হাসপাতাল এর আয়োজনে দিনব্যাপী প্রদর্শনী মেলার ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আঃ মজিদ সিকদার বাচ্চু, এ উপলক্ষ্যে র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণতি বিশ্বাসের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন পৌর মেয়র মোঃ গিয়াস উদ্দিন বেপারী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস.এম জামাল হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান অপূর্ব কুমার বাইন রন্টু, সীমা রানী শীল। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সব্যসাচী মজুমদারের সঞ্চালনায় বক্তৃতা করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আঃ হাকিম সন্যামত। অন্যানদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডাঃ জেরিন জামান, আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মোঃ শাহীন জামান, প্রেসক্লাব সভাপতি আঃ রহিম সরদার, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও কাউন্সিলর অসীম কুমার ঘরামী, কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম মামুন প্রমূখ। মেলায় ৪৫টি স্টলে গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগী, কবুতর, গ্রহপালিত বিড়াল, বিভিন্ন প্রজাতির পাখি প্রদর্শিত হয়। এ সময় তিন ক্যাটাগরিতে ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকারী ৯জন কে ২ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। প্রদর্শনীতে সকল স্টলে অংশগ্রহনকারীদের শান্তনা পুরস্কার প্রদান করা হয়। স্টলে দৈনিক ২৮ কেজি দুধ উৎপাদনকারী গাভীর মালিক উপজেলার পরমানন্দসাহা গ্রামের মহসিন হাওলাদারকে প্রথম, একই এলাকার ২২ কেজি দুধ উৎপাদনকারী গাভীর মালিক গিয়াস উদ্দিনকে দ্বিতীয় এবং বৃহৎ গরুর খামারের মালিক হস্তিশুন্ড গ্রামের রাসেল হাওলাদারকে তৃতীয় পুরস্কার প্রদান করা হয়। এছাড়া ছাগলের স্টল থেকে ৩জন বিজয়ী ও হাঁস, মুরগী, পাখি ও বিড়ালের স্টল থেকে ৩ জনকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। এ প্রদর্শনীর লক্ষ ও উদ্দেশ্য প্রাণি সম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধি, দুগ্ধজান পণ্যের বাজার সৃষ্টি করা, ক্ষুদ্র খামারী উদ্যোক্তাদের প্রতিকুল পরিবেশ মোকাবেলায় সক্ষমতা সৃষ্টি, বিজ্ঞান ভিত্তিক লালন পালন কৌশল অবহিত করা, উন্নত জাতের পশু-পাখি পালনে আধুনিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করা এবং জনসাধারণের জন্য নিরাপদ প্রাণিজ আমিষ সরবরাহ নিশ্চিত করা। মেলায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আঃ মজিদ সিকদার বাচ্চু বলেন, মেলার মাধ্যমে বেকার যুবকরা পশু পালনের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টির উৎসাহ যোগাবে। শুধু তাই নয়, আধুনিক যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পশু সম্পদের যথাযথ প্রয়োগ সম্প্রসারিত হবে।
Leave a Reply