বিদেশ ডেস্ক ॥ আফগানিস্তানে রাস্তার পাশে পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরিত হয়ে ১১ বাসযাত্রী নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে চারজন নারী ও তিনজন শিশু। রোববার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা। সন্ত্রাসকবলিত দেশটিতে বাসযাত্রীদের লক্ষ্য করে বোমা হামলার এটা সর্বশেষ ঘটনা। খবর এনডিটিভির। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শনিবার সন্ধ্যায় দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ বাদঘিসে এই হামলা সংঘটিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের নির্ধারিত সময়ের কয়েক মাস আগে থেকে এসব হামলার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। বাদঘিসে বাসে হামলার দায়িত্ব এখনো কেউ স্বীকার করেনি। তবে প্রদেশটির গভর্নর হেসামুদ্দিন হামলার জন্য তালেবানকে দায়ী করেছেন। বাদঘিস প্রদেশের আরেকজন কর্মকর্তা খোদাদাদ তাইয়েব হামলার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, বোমা বিস্ফোরণে ধ্বংস প্রায় বাসটি রাস্তা থেকে উপত্যকার গভীরে পড়ে গেছে। চলতি সপ্তাহে রাজধানী কাবুলেও বাস যাত্রীদের ওপর এরকম হামলা হয়েছে। সর্বশেষ ঘটনাটি তারই ধারাবাহিকতা বলে মনে করা হচ্ছে। কাবুলের হামলার দায় প্রথমে কেউ না নিলেও পরে আইএস এটা তাদের কাজ বলে দাবি করেছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আফগানিস্তানে সন্ত্রাসী হামলা নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে সীমান্ত অঞ্চলগুলোতে সরকারি ও তালেবানের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলা লেগেই আছে। শনিবার তালেবান জানিয়েছে, গজনি প্রদেশের ‘দেহ ইক’জেলা তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গেছে। ওদিকে সরকারি বাহিনী তালেবানের দাবি নাকচ করে দিয়ে বলেছে, তারা ওই জেলা থেকে নিজেদের সেনা সরিয়ে নিয়েছে। কাবুল থেকে কান্দাহার পর্যন্ত বিস্তৃত সড়কের মধ্যে অবস্থিত গজনি একটি কৌশলগত এলাকা। এর দক্ষিণাঞ্চল তালেবানের দুর্গ হিসেবে পরিচিত। প্রদেশ দুটোতে তালেবান ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে অনেক লড়াই হয়েছে। ২০১৮ সালে তালেবান প্রদেশটির রাজধানী দখল করে নিয়েছিল। সে সময় সর্বাত্মক হামলা চালিয়ে অনেক সরকারি অফিস ও স্থাপনা ধ্বংস করে দিয়েছিল তারা। আফগানিস্তানে অবস্থানরত যুক্তরাষ্ট্রের আড়াই হাজার সেনা ফিরিয়ে নেয়া হবে, এমনটা ঘোষণা করার পর থেকে দেশ জুড়ে সহিংসতার পরিমাণ বেড়েছে। ১১ সেপ্টেম্বর মার্কিন বাহিনীর আফগানিস্তান ছাড়ার কথা রয়েছে।
Leave a Reply