ভোলা প্রতিনিধি ॥ ভোলায় টেন্ডার ছাড়াই কাটা হচ্ছে সদর উপজেলা পরিষদের গাছ। সরকারি গাছ হওয়ায় এগুলো টেন্ডারের মাধ্যমে কাটার কথা থাকলেও উপজেলা পরিষদের অফিস সহকারি মো. মাহফুজের নির্দেশে গাছগুলো কেটে ফেলা হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা পরিষদের নির্মাণাধীন সীমানা প্রাচীর পাশ থেকে একটি রেইনট্রি গাছ অফিস সহকারি মাহফুজ নিজে দাঁড়িয়ে থেকে শ্রমিক দিয়ে কাটাচ্ছেন। তিনি বলেন, উপরের নির্দেশেই গাছ কাটা হচ্ছে। পরে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে তিনি গাছ কাটা বন্ধ করে দেন। তবে মাহফুজ এসময় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মামুন আল ফারুক স্বাক্ষরিত একটি চিঠি দেখান। সেখানে জীবিত গাছগুলোকে মরা, ঝড়ে উপরে পড়া ও বিনষ্টযোগ্য দেখানো হয়। এর আগেও উপজেলা পরিষদ চত্বরের বিভিন্ন যায়গা থেকে মেহেগুনি, আকাশমণি, রেইনট্রিসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৩০টি গাছ টেন্ডার ছাড়াই কেটে ফেলা হয়। অভিযোগ রয়েছে, সেই সব গাছে বেশিরভাগই অফিস সহকারি মাহফুজ নিয়ে গেছেন। জানা যায়, গত বছরের আগষ্ট মাসে ভোলা সদর উপজেলা পরিষদের সীমানা প্রাচীর, ড্রেন ও অভ্যন্তরীণ সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এ সুযোগে পরিষদের ভিতরের গাছগুলো কেটে ফেলা হয়। যদিও সরকারি নিয়মে কোনো কোনো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে জীবিত গাছ কাটার প্রয়োজন হলে স্থানীয় সরকার বিভাগের পূর্ব-অনুমতি ন্ওেয়ার কথা রয়েছে। এব্যাপারে অভিযুক্ত মাহফুজ বলেন, উপজেলা পরিষদের সীমানা প্রাচীর নির্মাণের জন্য গাছ কাটার প্রয়োজন হওয়ায় জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করা হয়েছে। সেটি এখনও অনুমোদন হয়নি। তাই আমরা গাছের ডাল-পালা কেটেছি। আগের কেটে ফেলা গাছগুলোও রেখে দেওয়া হয়েছে। সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোশারেফ হোসেন বলেন, উপজেলার গাছ কাটার ব্যাপারে আমার কিছুই জানা ছিল না। আমি জানার পর সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দিয়ে টেন্ডারের মাধ্যমে গাছ কাটার জন্য বলে দিয়েছি। এখানে কোনো অনিয়মের সুযোগ নেই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান জানান, গাছকাটা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অনুমোদন পেলে সরকারি নিয়ম অনুসরণ করে গাছ কাটা হবে। আগের কাটা গাছগুলোও নিলামে বিক্রি করা হবে।
Leave a Reply