বিদেশ ডেস্ক ॥ ২০২০ সালের স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুসারে আফগানিস্তান থেকে তুরস্কের সেনাদের প্রত্যাহার করা উচিত বলে জানিয়ে দিয়েছে তালেবান। মার্কিন ও ন্যাটো সেনারা আফগানিস্তান থেকে চলে যাওয়ার পর কাবুল বিমানবন্দর পরিচালনা করতে তুরস্ক যে প্রস্তাব দিয়েছে তা প্রত্যাখ্যান করেছে গোষ্ঠীটি। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের পর তুরস্কের পক্ষ থেকে কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে সম্ভাব্য সব দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে এক তুর্কি কর্মকর্তা জানিয়েছেন। রয়টার্সের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে তালেবানের মতামত জানতে চাইলে দোহাভিত্তিক একজন মুখপাত্র সুহেল শাহীন জানান, ২০ বছর ধরে তুরস্ক ন্যাটোর অংশ ছিল। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ২০২০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারিতে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুসারে তুরস্কের সেনাদের আফগানিস্তান ছাড়তে হবে। তিনি আরও বলেন, তুরস্ক একটি ইসলামী দেশ। তুরস্কের সঙ্গে আফগানিস্তানের ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। ভবিষ্যতে যখন আমরা নতুন ইসলামী সরকার গঠন করব তখন তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ও ভালো সম্পর্কের প্রত্যাশা করি। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিক্রিয়া জানাতে পারেনি রয়টার্স। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বৃহস্পতিবার তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা ও আঞ্চলিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছেন। আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দুই দশক ধরে যুদ্ধপীড়িত দেশটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রেরসহ সকল বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের কথা রয়েছে। এর মধ্যে আফগানিস্তানের ব্যাপক অঞ্চল দখলে নিয়েছে তালেবান যোদ্ধারা। বিশ্লেষকরা বলছেন, বিদেশি সেনা চলে গেলে তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে নেবে। জাতিসংঘের তথ্য বলছে, আফগানিস্তানের ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ এলাকা এখন তালেবানের নিয়ন্ত্রনে। রাজধানী সন্নিকটে পৌঁছে গেছে তালেবান। কাবুল থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে কট্টর ইসলামপন্থী এই সশস্ত্র গোষ্ঠী।
Leave a Reply