রবিবার, ০৮ Jun ২০২৫, ১১:৫৪ অপরাহ্ন

প্রধান পৃষ্ঠপোষকঃ মোহাম্মদ রফিকুল আমীন
উপদেষ্টা সম্পাদকঃ জহির উদ্দিন স্বপন
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতিঃ এস. সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু
প্রধান সম্পাদকঃ লায়ন এস দিদার সরদার
সম্পাদকঃ কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদকঃ মাসুদ রানা পলাশ
সহকারী সম্পাদকঃ লায়ন এসএম জুলফিকার
সংবাদ শিরোনাম :
সংবাদ সম্মেলন করে কয়েকটি স্থানীয় পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালের বিরুধ্যে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ আনলেন গৌরনদীর বিএনপি নেতা সজল সরকার স্বানাপ সিন্ডিকেটে বন্ধি জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতাল গৌরনদীতে বিএনপি’র গণঅবস্থান কর্মসূচি পালিত কোন অন্যায়কে প্রশ্রয় দেননি বলেই বেগম জিয়া ‘একজন আপোষহীন নেত্রী’-আবু নাসের মো: রহমাতুল্লাহ আন্তর্জাতিক সাংবাদিক আইনি প্রতিকার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এক জাঁকজমকপূর্ণ ইফতার দোয়া মাহফিল রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকান্ডে প্রশংসিত বরিশাল উত্তর জেলা নারী নেত্রী বাহাদুর সাজেদা বরিশালে সাংগঠনিক সফরে আসছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব ডা: মাহমুদা মিতু দুই দিনের সফরে আজ বরিশাল আসছেন অতিথি গ্রুপ অব কোম্পানির এমডি লায়ন সাইফুল ইসলাম সোহেল  পিরোজপুর ভান্ডারিয়ার যুব মহিলা লীগ নেত্রী জুথি গ্রেফতার গৌরনদীতে তিন দফা দাবি আদায়ে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল উপজেলা প্রশাসনকে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম
চারার বাজার মন্দা, লোকসানের শংকায় চাষিরা

চারার বাজার মন্দা, লোকসানের শংকায় চাষিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বছরের পর বছর ধরে ভাসমান ক্ষেতে (ধাপ) সবজির চারা উৎপাদন করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন বরিশাল ও পিরোজপুরের কৃষকরা। তবে এবার মহামারি করোনা ও বন্যার কারণে চারার বাজার অনেকটাই মন্দা যাচ্ছে। ফলে লোকসানের আশঙ্কা করছেন চারা চাষিরা। এদিকে পাইকাররা বলছেন, ফসলি জমিসহ দেশের নি¤œাঞ্চলগুলো থেকে পানি সরে গেলে বাজার ঘুরবে। বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার বিশারকান্দি ইউনিয়নের উমারের পাড় গ্রাম থেকে সবজির চারা কেনেন এমন একজন পাইকার মো. শহিদ। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, গোটা বিশারকান্দি ও পিরোজপুর নাজিরপুরের বৃহৎ এলাকাজুড়ে বর্ষার সময় ফসলি জমি পানির নিচে ডুবে থাকে। আর এ সময়টাতে শ্যাওলা, ফ্যানা ও কচুরিপানা দিয়ে ভাসমান ক্ষেত (ধাপ) তৈরি করা হয়। যা ডুবে থাকা ফসলি জমির ওপর রেখে সবজির চারা উৎপাদন করেন স্থানীয় কৃষকরা। এ অঞ্চলে প্রতিটি ধাপে প্রচুর পরিমাণ সবজির চারা উৎপাদন করা হয়। উৎপাদিত সে সব চারা বরিশালের পিরোজপুর, পটুয়াখালী, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, চাঁদপুর, বাগেরহাট ও চট্টগ্রামে নিয়ে বিক্রি করা হয়।
তবে এবার বন্যার কারণে সবজির চারার বাজার এখনো মন্দা। সে সঙ্গে মহামারি করোনাকালে ক্রেতাদের সংখ্যাও কমে যাওয়ায় বিগত সময় থেকে এবারে চারার দর অনেকটাই কম। তিনি আরও বলেন, যেখানে গত বছর বিভিন্ন সবজির চারা ৮-১০ টাকায় বিক্রি করেছি, এবার সেখানে তিন-পাঁচ টাকাতেও বিক্রি করতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি অর্থাৎ জমি থেকে পানি নেমে গেলে বাজার পরিস্থিতি ঘুরে যাবে। অপর পাইকার আ. খালেক বাংলানিউজকে বলেন, খুচরো বাজারে চারার চাহিদা কম থাকায় দর অনেকটাই কম। বর্তমানে তাই চাষিদেরও ভালো দর দিতে পারছিনা। আর এভাবে উৎপাদিত চারা তিন-চার দিনের বেশি সময় টিকিয়ে রাখা সম্ভব না হওয়ায়, ক্রেতাদের আগ্রহ বুঝেই চাষিদের কাছ থেকে সংগ্রহের পরিমাণও কমিয়ে দিয়েছি।
উমারের পাড় গ্রামের চাষি সেলিম হাওলাদার বাংলানিউজকে বলেন, গতবছর লাউ, শিম, বেগুন, পেপে, কুমড়া, করলা, শষা, বরবটি, টমেটো, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, কাচা ও বোম্বাই মরিচের চারা শ’ প্রতি ৩ থেকে ৫ শত টাকায় বিক্রি করেছি। আর এবারে তা কমে অর্ধেকের কাছাকাছি গিয়ে ঠেকেছে। তুলাতলা এলাকার কৃষক শামসুল হক বাংলানিউজকে বলেন, মহামারি করোনার কারণে এবার স্থানীয় পাইকার ছাড়া দূরের পাইকারদের তেমন একটা দেখা মিলছে না বিশারকান্দিতে। দূরের পাইকার না থাকায় বাজার স্থানীয় পাইকারদের নিয়ন্ত্রণে, ফলে লোকসান ঠেকাতে তারা যে দর দিচ্ছে তাতেই চারা বিক্রি করছেন কৃষকরা। রাসেল নামে অপর এক কৃষক বাংলানিউজকে বলেন, মৌসুমে একটি ধাপ থেকে ৩-৫ বার চারা উৎপাদনের চেষ্টা থাকে কৃষকের, সে ক্ষেত্রে ভাসমান ক্ষেতে (ধাপ) নির্ধারিত সময়ের পর চারাগাছ রাখাটাও বিপদ।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017-2024 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com