সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৪০ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
ফুলকুঁড়ি আসর এর ফাইনাল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের অনুষ্ঠিত আওয়ামী ঘরানার বিতর্কিত লোকদের দিয়ে উজিরপুর উপজেলা শ্রমিক দলের কমিটি গঠন করার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সান্টু খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় গৌরনদীতে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে এতিমখানা ও মাদ্রাসার দরিদ্র, অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বরিশালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কারাবন্ধী ও রাজপথে সাহসী সৈনিকদের সম্মানে ইফতার দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায়, দখিনের খবর পত্রিকা অফিসের তালা ভেঙে কোটি টাকার লুণ্ঠিত মালামাল বাড়িওয়ালার পাঁচ তলা থেকে উদ্ধার, মামলা নিতে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা গলাচিপা উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন, সভাপতি হাফিজ, সম্পাদক রুবেল চোখের জলে বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী বাবুলকে চির বিদায় বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন কারামুক্ত উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন বরিশাল মহানগর বিএনপির মীর জাহিদসহ পাঁচ নেতা
চারার বাজার মন্দা, লোকসানের শংকায় চাষিরা

চারার বাজার মন্দা, লোকসানের শংকায় চাষিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বছরের পর বছর ধরে ভাসমান ক্ষেতে (ধাপ) সবজির চারা উৎপাদন করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন বরিশাল ও পিরোজপুরের কৃষকরা। তবে এবার মহামারি করোনা ও বন্যার কারণে চারার বাজার অনেকটাই মন্দা যাচ্ছে। ফলে লোকসানের আশঙ্কা করছেন চারা চাষিরা। এদিকে পাইকাররা বলছেন, ফসলি জমিসহ দেশের নি¤œাঞ্চলগুলো থেকে পানি সরে গেলে বাজার ঘুরবে। বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার বিশারকান্দি ইউনিয়নের উমারের পাড় গ্রাম থেকে সবজির চারা কেনেন এমন একজন পাইকার মো. শহিদ। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, গোটা বিশারকান্দি ও পিরোজপুর নাজিরপুরের বৃহৎ এলাকাজুড়ে বর্ষার সময় ফসলি জমি পানির নিচে ডুবে থাকে। আর এ সময়টাতে শ্যাওলা, ফ্যানা ও কচুরিপানা দিয়ে ভাসমান ক্ষেত (ধাপ) তৈরি করা হয়। যা ডুবে থাকা ফসলি জমির ওপর রেখে সবজির চারা উৎপাদন করেন স্থানীয় কৃষকরা। এ অঞ্চলে প্রতিটি ধাপে প্রচুর পরিমাণ সবজির চারা উৎপাদন করা হয়। উৎপাদিত সে সব চারা বরিশালের পিরোজপুর, পটুয়াখালী, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, চাঁদপুর, বাগেরহাট ও চট্টগ্রামে নিয়ে বিক্রি করা হয়।
তবে এবার বন্যার কারণে সবজির চারার বাজার এখনো মন্দা। সে সঙ্গে মহামারি করোনাকালে ক্রেতাদের সংখ্যাও কমে যাওয়ায় বিগত সময় থেকে এবারে চারার দর অনেকটাই কম। তিনি আরও বলেন, যেখানে গত বছর বিভিন্ন সবজির চারা ৮-১০ টাকায় বিক্রি করেছি, এবার সেখানে তিন-পাঁচ টাকাতেও বিক্রি করতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি অর্থাৎ জমি থেকে পানি নেমে গেলে বাজার পরিস্থিতি ঘুরে যাবে। অপর পাইকার আ. খালেক বাংলানিউজকে বলেন, খুচরো বাজারে চারার চাহিদা কম থাকায় দর অনেকটাই কম। বর্তমানে তাই চাষিদেরও ভালো দর দিতে পারছিনা। আর এভাবে উৎপাদিত চারা তিন-চার দিনের বেশি সময় টিকিয়ে রাখা সম্ভব না হওয়ায়, ক্রেতাদের আগ্রহ বুঝেই চাষিদের কাছ থেকে সংগ্রহের পরিমাণও কমিয়ে দিয়েছি।
উমারের পাড় গ্রামের চাষি সেলিম হাওলাদার বাংলানিউজকে বলেন, গতবছর লাউ, শিম, বেগুন, পেপে, কুমড়া, করলা, শষা, বরবটি, টমেটো, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, কাচা ও বোম্বাই মরিচের চারা শ’ প্রতি ৩ থেকে ৫ শত টাকায় বিক্রি করেছি। আর এবারে তা কমে অর্ধেকের কাছাকাছি গিয়ে ঠেকেছে। তুলাতলা এলাকার কৃষক শামসুল হক বাংলানিউজকে বলেন, মহামারি করোনার কারণে এবার স্থানীয় পাইকার ছাড়া দূরের পাইকারদের তেমন একটা দেখা মিলছে না বিশারকান্দিতে। দূরের পাইকার না থাকায় বাজার স্থানীয় পাইকারদের নিয়ন্ত্রণে, ফলে লোকসান ঠেকাতে তারা যে দর দিচ্ছে তাতেই চারা বিক্রি করছেন কৃষকরা। রাসেল নামে অপর এক কৃষক বাংলানিউজকে বলেন, মৌসুমে একটি ধাপ থেকে ৩-৫ বার চারা উৎপাদনের চেষ্টা থাকে কৃষকের, সে ক্ষেত্রে ভাসমান ক্ষেতে (ধাপ) নির্ধারিত সময়ের পর চারাগাছ রাখাটাও বিপদ।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com