নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নদীকে কেন্দ্র করেই সভ্যতা গড়ে উঠে। আমাদের বাঁচতে হলে নদীগুলোকে সচল রাখতে হবে। প্রকৃতির ওপর আমরা যে অত্যাচার করি তা আমাদেরই ফেরত দেবে। তাই নদী রক্ষায় সরকারের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও অর্থাৎ এর আশপাশের ব্যবহারকারীদেরও ভূমিকা পালন করতে হবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বরিশাল সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত উপজেলা পর্যায়ে নদী সংরক্ষণ শীর্ষক উদ্বুদ্ধকরণ ও সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় নদী কমিশনের ৪৮ নদী সমীক্ষা প্রকল্পের পরিচালক ও যুগ্ম সচিব ইকরামুল হক এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নদীকে রক্ষায় অবৈধ দখল উচ্ছেদের পাশাপাশি সীমানা নির্ধারণ নিশ্চিত করতে হবে। বন্ধ করতে হবে নদী দূষণ। সরকার এজন্য বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলে জানান তিনি। নদী দূষণ, অবৈধ দখলদারিত্ব এবং অন্যান্য দূষণ থেকে নদী রক্ষা ও নদীর তথ্যভা-ার তৈরি ও সমীক্ষা প্রকল্পের (১ম পর্ব) আওতায় অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনিবুর রহমান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক প্রশান্ত কুমার দাস ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মাহাবুবুর রহমান মধু। কর্মশালায় বরিশাল সদর উপজেলার কীর্তনখোলা নদীর কিছু চিত্র তুলে ধরে বলা হয়, শুধুমাত্র এই একটি নদীর তীরবর্তী ৪ হাজার ৪২৩টি স্থানে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণসহ নানাভাবে দখল করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি দখল হয়েছে নদীটির সিটি করপোরেশন এলাকার তীরবর্তী জায়গা। বক্তারা এসব উদ্ধারে ও নদীদূষণ রোধে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানান।
Leave a Reply