বরগুনা প্রতিনিধি ॥ বরগুনা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের একটি খালি জমিতে ব্যানারে লেখা ‘এখানে ময়লা ফেলা নিষেধ’। জমিটি ব্যক্তিগত হলেও দেখার কোনো লোক নেই। ফলে ব্যানারের লেখায় গুরুত্ব না দিয়ে সেখানেই ময়লা আবর্জনা ফেলে পরিবেশ দূষণ করছে অসচেতন ব্যক্তিরা। ওই ওয়ার্ডের বটতলা এলাকায় পৌরসভা কর্তৃক নির্ধারিত ময়লা রাখার ব্যবস্থা থাকলেও নেই সঠিক ব্যবহার। জমির মালিক পেশায় একজন শিক্ষক। থাকেন অন্য উপজেলায় তাই জমি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নেই কেউ। এ কারণেই ময়লা আবর্জনা থেকে পরিষ্কার রাখার জন্য জমিতে দুইটি ব্যানার ঝুলিয়ে দিয়েছেন তিনি।
স্থানীয়রা জানান, এ আবর্জনার ফলে পার্শ্ববর্তী ভাড়াটিয়া ও পথচারীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এছাড়া ১০০ গজ দূরে রয়েছে একটি মসজিদ। সরেজমিনে দেখা গেছে, বিভিন্ন খাবার হোটেল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রতিদিনের পঁচা পরিত্যক্ত খাবার, দইয়ের খালিবাটি, ডিমের খোসা, পলিথিন, মুরগির নাড়িভুঁড়ি, প্লাস্টিকের বোতলসহ নানা ধরনের দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা আবর্জনা জমিটিতে ফেলা হচ্ছে। এতে আবর্জনার স্তূপ থেকে তীব্র দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে বাতাসে। দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। দুর্গন্ধে মহাসড়কে চলাচলকারী হাজারো যানবাহনের যাত্রী, পথচারীরা সমস্যায় পড়ছেন। অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন এলাকার বাসিন্দারা। এ অবস্থায় এলাকার বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করে অবিলম্বে জমিটি পরিষ্কার করে পরিবেশ সুরক্ষার দাবি জানান। মসজিদে নামাজ আদায় করতে এসে ইয়াসিন নামে এক মুসল্লি বাংলানিউজকে বলেন, আবর্জনায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। এ জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা দিয়ে চলাচল করা এখন কষ্টকর। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত জমিটি সংস্কার ও ময়লা-আবর্জনা ফেলা রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখার দাবি জানাই। স্থানীয় বাসিন্দা তরিকুল ইসলাম রতন বলেন, আমরা সচেতন হলেই পরিবেশকে সুন্দর রাখা সম্ভব। যেখানে সেখানে ময়লা না ফেলে পরিবেশকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। এ প্রসঙ্গে জানতে ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তুষারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান মহারাজ বাংলানিউজকে বলেন, আমরা সবসময় চেষ্টা করি সঠিক সময় ময়লা অপসারণ করতে এবং জনগণকে সচেতন করতে। বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। এ ব্যাপারে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বরগুনা সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান বলেন, জনস্বাস্থ্যের জন্য এটি মারাত্মক ঝুঁকি। ময়লা-আবর্জনা থেকে মশার বংশবিস্তারের আশঙ্কা রয়েছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রশাসন ও লোকজনকে সতর্ক ও সচেতন হতে হবে।
Leave a Reply