ভান্ডারিয়া প্রতিনিধি ॥ সারা দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণার দীর্ঘ ৫শত ৪৪ দিন (১৮মাস) পর পরবর্তী সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সে সিদ্ধান্ত মোতাবেক পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় রবিবার (১২সেপ্টেম্বর) স্কুল কলেজ খোলার প্রথম দিনে প্রাথমিক,মাধ্যমিক বিদ্যালয় , কলেজ ও মাদ্রাসা সহ ২৬৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার গড়ে ৭০% বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ভান্ডারিয়া পৌর সভাসহ উপজেলার বাকি ছয়টি ইউনিয়নে প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিন্ডারগার্টেন (কেজি)স্কুল, মাধ্যমিক বিদ্যালয়,মাদরাসা এবং কলেজে ধাপে ধাপে পাঠদান কার্যক্রমের সরকারি সিদ্ধান্তের মধ্যে প্রাথমিকে সপ্তাহের ছয় দিন বাধ্যতা মূলক পঞ্চম শ্রেণি এবং প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণির মধ্যে রবিবার ছিল তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাসে আসার কথা। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. নাসীর উদ্দিন খলিফা জানান, ৫৪৪দিন পর স্কুল খোলার শুরুর দিনে ১৬৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে মোট শিক্ষার্থী ২হাজার ৫৬৫জন এর মধ্যে উপস্থিত হয়েছে ২হাজার ১১৮জন। উপস্থিতির হার ৮৩%। পাঠদানের বিষয় ছিল গণিত,বাংলা এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং তৃতীয় শ্রেণিতে মোট শিক্ষার্থী ২হাজার ৬২৯জন। উপস্থিত হয়েছে ২হাজার ১৩জন। উপস্থিতিরহার ৭৭%। পাঠদানের বিষয় ছিল বাংলা,ইংরেজী ও গণিত।মাধ্যমিকে বাধ্যতামূলক ২০২১-২০২২শিক্ষাবর্ষের এসএসসি পরীক্ষার্থী এবং ৬ষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির যে কোন একটি শ্রেণির শিক্ষার্থী ক্লাসে আসার কথা রয়েছে আর সে সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠান প্রধানদের উপর নির্ভর করে বলে জানান উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জহিরুল আলম। ঐ কর্মকর্তা জানান দীর্ঘ ১৮মাস পরে ক্লাস শুরুর দিনে মাধ্যমিক এবং মাদ্রাসায় দুই ক্লাসে উপস্থিতির হার ছিল ৭০%।
ভান্ডারিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আমান উল্লাহখান জানান, সরকারি এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক কলেজ পর্যায়ে গ্রুপ ভিত্তিক ক্লাসের শুরুর দিনে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের মানবিক বিভাগেঅর্থনীতি,পৌরনীতি,ইসলামের ইতিহাস ও সমাজবিজ্ঞান,বানিজ্যবিভাগে হিসাববিজ্ঞান,উৎপাদন ও বিপনন এবং ব্যাংক ও বীমা বিষয়ে শিক্ষার্থী উপস্থিতর হার ছিল গড়ে প্রায় ৬০%। ভান্ডারিয়া মজিদা বেগম মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আবু জাফর জানান, সরকারি এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক এ কলেজ গ্রুপ ভিত্তিক ক্লাসের শুরুর দিনে ছিল দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের সমাজ বিজ্ঞান ও সমাজ কল্যাণ এবং প্রথম বর্ষে ইংরেজী প্রথমপত্র,ইসলামের ইতিহাস এবং ইতিহাস তাতে ঐ কলেজে শুরুর দিনে উপস্থিতি ছিল ৬০/৬৫ %। সপ্তাহের বাকি পাঁচ দিনে ধাপে ধাপে অন্যান্য ক্লাসের শিক্ষার্থীরা ক্লাস করবেন বলেও জানান অধ্যক্ষ। সরেজমিনে বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঘুরে দেখা যায়, স্কুল কলেজের প্রবেশদ্বারে আগত শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষকরা ইলোক্ট্রোথার্মাল দিয়ে পরীক্ষা করা হয়। পরে যাদের মাস্ক নাই তাদের মাস্ক পরিধান এবং হ্যান্ডস্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়ার পরে পাঠদানের জন্য ক্লাসে প্রবেশ করানো হয়। কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ফুল ও চকলেট দিয়ে বরণ করা হয়। এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক সীমা রানী ধর কিছু সংখ্রক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শণ করেন।
Leave a Reply