পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি ॥ মুলাদী থেকে পালিয়ে এসে আপন মা নিজ মেয়ে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে বাল্য বিবাহ দেওয়ার গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ উঠেছে মাহিনুরের বিরুদ্ধে। মুলাদির বৈরীবাড়ী এলাকার মোঃ ফারুকের স্ত্রী মাহিনুর বেগম তার ছোট মেয়ে লিয়া (১৬)। অভিযোগ উঠেছে মুলাদি থেকে পালিয়ে এসে স্বরূপকাঠির আরামকাঠীতে আশ্রয় নেয় জামাইর বাড়িতে। আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আপন দুলাভাই আরামকাঠীর স্কুল পড়ুয়া বালিকা লিয়াকে সুকৌশলে বাল্য বিবাহ দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে । এ ব্যাপারে মুলাদির বহু গণ মাধ্যম কর্মীরা স্বরূপকাঠির গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, লিয়াকে মেয়ের বাবা ও মা বাল্য বিবাহ দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু প্রশাসনের ও সাংবাদিকদের ভয়ে আমাদের এলাকায় বাল্য বিবাহ দিতে সাহস পায়নি। তাই এলাকা থেকে রাতের অন্ধকারে স্কুল পড়ুয়া বালিকা লিয়াকে নিয়ে ঘর ছাড়ে মেয়ের বাবা ও মা । আর সেই সূত্র ধরেই স্থানীয় গণ মাধ্যম কর্মীরা খোজ নিয়ে আসল রহস্য উদঘাটন করেন। সরেজমিনে যাওয়া গণ মাধ্যম কর্মীরা মুলাদির মেয়েকে বাল্য বিবাহ থেকে উদ্ধার করতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে চেষ্টা চালিয়ে যায়। কিন্তু লিয়ার মায়ের কূটকৌশলী বুদ্ধির কাছে হোঁচট খায়। তবে মুলাদির জামাই এরং আরামকাঠীর সন্তান মোঃ মোকলেছুর রহমানের ছেলে নার্সারি ব্যাবসায়ী মোঃ জুয়েল দেশের আইন কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে গোপনে গোপনে বাল্য বিবাহ দেয় বলে এলাকার বেশির ভাগ লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন। এদিকে সরেজমিনে যাওয়া গণ মাধ্যম কর্মীদের আরও বলেন গত শীতে মুলাদির ফারুকের ছোট মেয়ে লিয়া প্রেমের টানো ঘর ছাড়ে স্বরূপকাঠি উপজেলায়। তৎকালীন সময়ে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জনপ্রিয় নেতা এস এম মুইদুল ইসলাম মুহিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে মেয়েকে তার বাবা মোঃ ফারুক ও মা মাহিনুরের হাতে তুলে দেন প্রশাসনের পরামর্শ অনুযায়ী। সেই সময়ে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বাল্য বিবাহের বিরুদ্ধে কঠিন অবস্থান গ্রহণ করেন। অথচ সেই সময়ে মেয়ের বাবা ও মাকে বলেছিলেন মেয়েকে সুশিক্ষিত করুন। বয়স হলে প্রয়োজননে বিয়ে দিবেন কিন্তু মনের ভুলেও বাল্য বিবাহ দেওয়া যাবেনা। কিন্তু মুলাদির লোভী পরিবার সেই সময়ের ওয়াদা ভুলে গিয়ে জোর করে এবং টাকার লোভে পড়ে চলতি সপ্তাহে স্বরূপকাঠি পৌরসভার স্কুল পড়ুয়া বালিকাকে বিয়ে দেয়। এ ব্যাপারে মুলাদির গণ মাধ্যম কর্মীরা বলেন, ভূয়া কাগজ পত্র তৈরি করে রাষ্ট্রীয় আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে স্বরূপকাঠি উপজেলার মধ্যে মধ্য বাজারে গোপনে গোপনে বিয়ে দেয়। এ ব্যাপারে পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মোঃ জামান কাজীর সাথে কথা হয় গণ মাধ্যম কর্মীদের। স্থানীয় কাউন্সিলর বলেন আমি এবিষয়ে তেমন কিছু জানিনা। আকলমের মধ্য বাজারের লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন সম্ভবত আমাদের ওয়ার্ডের মোঃ মোকসেদ মিয়ার ছেলের সাথে বিয়ে হয় গোপনে। এ ব্যাপারে মুলাদির ফারুকের স্ত্রীর সাথে কথা বলার চেষ্টা করে গণ মাধ্যম কর্মীরা। সাংবাদিকদের পরিচয় পাওয়ার পর পরই মোবাইল সেট অফ করে রাখেন।এদিকে লোভী মেয়ে পরিবারের বেশকিছু তথ্য উদঘাটন করেন। স্থানীয় লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, বিগত সময়ে স্বরূপকাঠির এক ছেলের সাথে প্রেম করে মুলাদির স্কুল পড়ুয়া বালিকা অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মোসাঃ লিয়া। সেই সময়ে লিয়া ও তার মা ছেলের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের প্রায় অর্ধ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু লিয়া প্রেমের সাথে বেঈমানী না করে লোভী মায়ের নির্দেশ উপেক্ষা করে সেই সময়ে শীতের রাতকে উপেক্ষা করে প্রেমের টানে ঘর ছাড়ে। গত বছর শীতের রাতে চলে আসে স্বরূপকাঠিীতে একা একা। কিন্তু স্বরূপকাঠি উপজেলার সাধারণ মানুষ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের শরণাপন্ন হয়। এদিকে মুলাদির লোভী মেয়ে পরিবারের মা,বাবা ও মেয়ের কঠিন শাস্তি চায় স্বরূপকাঠি উপজেলার সাধারণ মানুষেরা। এ ব্যাপারে আরামকাঠীর বেয়াদব খ্যাত দুলাভাই মোঃ জুয়েলের সাথে কথা বলেন গণ মাধ্যম কর্মীরা। কিন্তু সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর পরই মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয়।এদিকে স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা প্রশংসনীয় হচ্ছে সর্ব মহলে । ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, সঠিক নিয়মে অভিযোগ পেলে আমরা মুহুর্তের মধ্যে আইনের ধারায় প্রকৃত অপরাধীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো। সর্বশেষ তথ্য মতে মুলাদির চেয়ারম্যান ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ফারুকের মেয়ে লিয়ার বিষয়ে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, ফারুক, তার স্ত্রী মাহিনুর ও তার মেয়ে লিয়া এলাকা থেকে কৌশলে চলে যায়। তাই আমরা বাল্য বিবাহ বন্ধ করতে ব্যার্থ হয়েছি।
Leave a Reply