দখিনের খবর ডেস্ক ॥ বরগুনায় ঈদের দিন বিকেলে নদীর তীরে বেড়াতে গিয়ে হামলায় নিহত হৃদয়ের দাফন সস্পন্ন হয়েছে। বুধবার (২৭ মে) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার ছোট লবনগোলা গ্রামের নিজ বাড়ির কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এদিকে হৃদয় হত্যাকান্ডে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার সাত আসামির মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক তিন জনের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বরগুনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. আব্বাস উদ্দিন বুধবার বিকেলে তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলায় গ্রেপ্তার অপ্রাপ্তবয়স্ক চার আসামিকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন তিনি।
হৃদয় হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বরগুনার সদর থানার পরিদর্শক সরোজিৎ কুমার ঘোষ জানান, ভার্চুয়াল আদালতে প্রাপ্তবয়স্ক ৩ আসামি নোমান কাজি, হেলাল মৃধা এবং হেলাল ফকিরের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। পরে আদালত তাদের প্রত্যেকের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তিনি জানান, এ মামলার অপর ৪ অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামিরও ৭ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়। পরে আদালত এ রিমান্ড শুনানির জন্য পরবর্তিতে দিন ধার্য করে তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে ঈদের দিন (সোমবার) বিকেলে বরগুনার পায়রা নদীর পাড়ে গোলবুনিয়া বল্ক ইয়ার্ডে বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে ঘুরতে যান হৃদয়। এ সময় পূর্বশত্রুতার পাশাপাশি হৃদয়ের সঙ্গে থাকা এক বান্ধবীকে অভিযুক্তরা উত্ত্যক্ত করলে হৃদয় এর প্রতিবাদ করেন। এতে দু’পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা হলে অভিযুক্তরা হৃদয়সহ তার কয়েক বন্ধুকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (২৬ মে) সকালে মৃত্যুবরণ করেন হৃদয়।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে নিহত হৃদয়ের মা ফিরোজা বেগম ২০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১৪-১৫ বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্তদের মধ্যে এ মামলার ১ নম্বর আসামি নোমান কাজি (১৮), ২ নম্বর আসামি হেলাল মৃধা (২৬), ৬ নম্বর আসামি সাগর গাজি (১৬), ৭ নম্বর আসামি ইমন হাওলাদার (১৮), ৮ নম্বর আসামি রানা আকন (১৬), ১২ নম্বর আসামি সফিকুল ইসলাম ঘরামি (১৫) এবং ১৫ নম্বর আসামি হেলাল ফকিরকে (২১) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
Leave a Reply