পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি ॥ লোভের কারণে সত্য ঘটনা লুকিয়ে মিথ্যা মামলা করার অভিযোগ উঠেছে স্বরূপকাঠির উত্তর করফা এলাকায় দ্বীণ ইসলামের মেয়ে কলি (১৪) বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্র জানায় গত কয়েক মাস আগে সুপারী ছেলানোর কাজে যায় কলি আক্তার। ঐ সময়ে মালিক পক্ষের মোঃ খাইরুলের চোখাচোখি সহ প্রেম প্রেম খেলা শুরু করে। ইচডে পাকা উত্তর করফার দ্বীণ ইসলামের মেয়ে কলি অতি অল্প সময়ের মধ্যেই নানান বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে বলে এলাকার বেশীরভাগ লোকজন জানান। স্থানীয় সূত্র আরও জানায়, উত্তর করফা এলাকায় দ্বীণ ইসলামের আদি বাসস্থান না হওয়ায় বিগত সময়ে মেয়ে নিয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। বড় মেয়েকে বিয়ে দেয় আপন আত্মীয়ের সাথে নাজিরপুরে। পরবর্তী সময়ে দ্বীন ইসলামের মেয়ে স্বামীর সাথে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে।ঐ সময়ে বর্তমান মহিলা মেম্বার হালিম খানমের স্বামীর মদ্বস্ততায় প্রায় দুই লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিচ্ছেদ হয় পিরোজপুর বসে। এদিকে আবারও বিতর্কিত হয় দ্বীন ইসলামের মেঝ মেয়ে নিয়েও । মেঝ মেয়ের বিয়ে হয় মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ফজলুল হকের ছেলের সাথে। এক বছর যেতে না যেতেই এখানেও বিতর্কিত হয় মেঝ মেয়ে নিয়ে। টাকার মাধ্যমে দেনমোহর নিয়ে বিদায় নিয়েও পরবর্তী সময়ে বিতর্ক পিছু ছাড়েনি। যদিও মেঝ মেয়ে আর এক নাগর নিয়ে ঢাকায় পালিয়ে যায়।
এদিকে সেজ মেয়েও গত ছয় মাসের আগের প্রেম নিয়ে নুতন করে মহা নাটক করে উত্তর করফা এলাকায়। স্কুল ছাত্রী কলির প্রেম ঘটিত বিষয় নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান সহ বহু গণ্য মান্য গ্রাম্য আদালতে বহুবার বিচারের আওতায় আনা হয়। মেয়ে পরিবার সহ ছেলে মোঃ খায়রুলকে বিভিন্ন বিষয়ে জিঞ্জাসাবাদ করেন। বার বার চেয়ারম্যান সহ স্থানীয় মহিলা মেম্বার মেয়ে কলিকে বহু প্রশ্ন করেন। সঠিক নিয়মে সঠিক ভাবে সত্য ঘটনা জানার চেষ্টা করেন। অথচ কোন ভাবেই খাইরুলের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেনি। বরং সাহসী উচ্চারন করে কলি উপস্থিত শালিশী বৈঠকে বলেন, আমার সাথে খাইরুলের সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠার প্রশ্নই ওঠে না। প্রেম ছিল এটা শতভাগ খাঁটি কথা কিন্তু অবৈধ ভাবে বেআইনি সম্পর্ক করিনাই। অবশ্য প্রেমের বিষয়ে খাইরুলের আত্মীয় সাইদুলের স্ত্রী নাসরিন প্রথম থেকেই একটা প্রতারণার আশ্রয় নেয়। আমাকে বলে খায়রুল তোকে বিয়ে করবে। এদিকে গ্রাম্য আদালতে মেয়ের ভিডিও ফুটেজ যাছাই বাছাই করলে সুস্পষ্ট ভাবে প্রমাণিত হয় খায়রুল কলির সাথে প্রেম ছিল। কিন্তু কোন রকম অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক ছিলো না। স্কুল ছাত্রী কলির সুস্পষ্ট ভাষ্যই প্রমাণিত হয় খায়রুল জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেনি। বরং প্রেম প্রেম খেলা চলে আসছিল কিন্তু অবৈধ সম্পর্ক নয়।যদিও গত কয়েক মাস ধরেই উওর করফা এলাকায় কলি ও খাইরুলের প্রেম ঘটিত ঘটনায় বহু পানি ঘটিয়েছে উপজেলা পর্যায়ে। কলির মিথ্যা বয়ানে জেলা প্রতিনিধি ও স্থানীয় গণ মাধ্যম কর্মীদের সাথে ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয়েছে। অথচ মেয়ে পরিবার বিগত বদ স্বভাবের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে ছেলে মোঃ খায়রুল সহ স্থানীয় মহিলা মেম্বারকে মিথ্যা অপবাদ দেয়। যদিও মেয়ে পরিবার হীন স্বার্থের জন্য একটা ভুল তথ্য দিয়ে প্রশাসন সহ গণ মাধ্যম কর্মীদের মধ্যেও কম বেশি বিতর্কিত করেছে বলে সুশীল সমাজের লোকজন বলেন।
সর্বশেষ তথ্য মতে মেয়ে পরিবার ছলচাতুরী ও মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে গত সপ্তাহে নেছারাবাদ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। পরবর্তী সময়ে গত ০৩/০৭/২০২০ তারিখে নেছারাবাদ থানায় মামলা গ্রহণ করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় মোঃ খালেকের ছেলে মোঃ খায়রুল ইসলামকে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় আসামি করা হয় মোঃ মান্নান জমাদ্দারের ছেলে মোঃ সাইদুল ও তার স্ত্রী মোসাঃ নাসরিনকে। মামলার ধারা অনুযায়ী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন২০০০( সংশোধনী ২০০৩) এর ৯(১)/৩০। ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ ও সহায়তার অপরাধ আইনে মামলা হয়। মেয়ের বাবা দ্বীণ ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। এ ব্যাপারে এলাকার বেশীরভাগ লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, আইনের আওতায় সঠিক নিয়মে সুন্দর বিচার পাক। এ প্রত্যাশা সর্ব মহলের। তবে বিজ্ঞ মহলের প্রশ্ন, লোভের কারণে মেয়ে পরিবার ক্ষুদ্র প্রেমের ঘটনাকে কেন্দ্র করে অতি উৎসাহী হয়ে তিলকে তাল করেছে। বিগত ছয় মাসের প্রেম ঘটিত ঘটনা নিয়ে এত নাটক করা ঠিক হয়নি বলে এলাকার বেশীরভাগ লোকজন বলেন। তাছাড়া বিগত সময়ে মেয়ে পরিবার নানা বিষয়ে করফা এলাকায় চরম বিতর্কিত। তবে এলাকার বেশীরভাগ লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের আরও বলেন, প্রেম ঘটিত ঘটনা নিয়ে স্থানীয় মহিলা মেম্বারকে নিয়ে বিতর্কিত করা ঠিক হয়নি। অথচ হালিমা খানম বিগত সময়ে এলাকায় সাধারণ মানুষের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন অকাতরে। এ ব্যাপারে এলাকার চেয়ারম্যান
মোঃ সায়েম জেলার গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, আমরা চেষ্টা করেছিলাম সুন্দর সমাধানের। যদিও মেয়ের ভাষ্য মতে ও ভিডিও ফুটেজ অনুযায়ী মেয়ে সব সময় প্রেমের কথা বলেছে। অথচ মামলার ধারা অনুযায়ী বলেছেন জোর করে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেছেন খায়রুল। সর্বশেষ আইনের প্রতি শ্রদ্ধা আমাদের সকলের। তাই মিথ্যা তথ্য দিয়ে কাউকে অহেতুক ফাঁসানো ঠিক নয়। এ ব্যাপারে নেছারাবাদ থানার ওসি মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেন জেলার গণ মাধ্যম কর্মীদের। এদিকে মেয়ে পরিবারের দুমুখী আচরণ ও জবান বন্দি নিয়ে এলাকায় এক ধরনের হাস্যরসে পরিনত হয়েছে। সরেজমিনে জেলার গণ মাধ্যম কর্মীরা এলাকায় গিয়ে সেই চিত্রই তুলে ধরার চেষ্টা করেন।
Leave a Reply