নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল মেট্রোপলিটন উত্তর জোনের নগরের কাউনিয়া এলাকা থেকে চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে ২টি ও জুন মাসে ১টি সহ ৭ লক্ষ টাকা মূল্যের ইয়ামাহা (এফজেড-৫) সুজুকি ও বাজাজ পালসার ৩টি মোটর সাইকেল চুরির মামলার ঘটনায় আসামীদের গ্রেফতার ও চুরি যাওয়া মোটর সাইকেল উদ্ধার অভিযানে নেমে (উত্তর) জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) খাইরুল আলমের নেতৃতে কাউনিয়া থানা পুলিশের কয়েকটি টিম দক্ষিণ ও পশ্চিম অঞ্চলের খুলনা, বাগেরহাট, যশোর, গোপালগঞ্জ ও বরিশাল সহ ৫টি জেলায় গোপনীয় দক্ষতার সাথে অভিযান চালিয়ে চুরি যাওয়া ২টি মোটর সাইকেল উদ্ধর করা সহ ৪টি গাড়ি উদ্ধারের পাশাপশি আন্তজেলা মোটর সাইকেল চোর চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করে বরিশালে নিয়ে এসে এক সফল অভিযানের তথ্য তুলে ধরা হয় বরিশালের গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে।
রবিবার (১২ই) জুলাই সকাল সাড়ে ১১ টায় নগরের লুৎফর রহমান সড়কস্থ বরিশাল মেট্রোপলিটন (উত্তর) জোন কার্যলয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এসব তথ্য তুলে ধরেন উপ-পুলিশ কমিশনার খাইরুল আলম। চলতি বছরের ৫ই জানুয়ারী রাত ১১,১০ মিনিটের দিকে নগরীর ১নং ওয়ার্ড পশ্চি কাউনিয়া এলাকা থেকে বাসার গেটের তালা ভেঙ্গে মোঃ আফজাল হোসেনের ব্যবহত লাল রংয়ের ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার মূল্যের বাজাজ পালসার মোটর সাইকেল চুরি করে নিয়ে যায় অঞ্জাতনামা একদল চোর।
এইক মাসের ২২ই জানুয়ারী সকাল আনুমানিক ৫টার দিকে একই ওয়ার্ডের পশ্চিম কাউনিয়া হাজেরা খাতুন সড়কের মোঃ লাবু খানের ৩লক্ষ ২০ হাজার টাকা দামের ইয়ামাহা (এফ.জেড-৫) মডেলের গাড়িটি বাসার গেটের তালা ভেঙ্গে চুরি করে নিয়ে যায়।
অপরদিকে চলতি বছরের ২১ইজুন ভোর রাত ৪ টার দিকে কাউনিয়া পিছনের স্কুলের ঈষিক সমাদ্দারের ১লক্ষ ৮০ হাজার টাকার মূল্যের সুজুকি গ্লক্সার (১৫৫-সিসি) একইভাবে চুরি হয়ে যাবার ঘটনায় পৃথকভাবে একই এলাকা থেকে ৩টি দামী মোটর সাইকেল বাসার গেট ভেঙ্গে চুরি হয়ে যাবার মামলায় কাউনিয়া থানা পুলিশকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দেয়। মেট্রো উত্তর জোন কাউনিয়া এলাকা থেকে চুরি হয়ে যাওয়া মোটর সাইকেল উদ্ধার অভিযানে প্রথম প্রর্যায়ে কোর ক্লু না থাকায় মামলার অগ্রগতি নিয়ে পুলিশকে বেগ পোহাতে হয়।
পরবর্তীতে ডিসি) খাইরুল আলমের নেতৃত্বে সহকারী পুলিশ কমিশনার আঃ হালিম, অফিসার ইনজচার্জ (ওসি) আজিমুল করিম, ওসি তদন্ত, ওসি অপরেশন সহ বিভিন্ন থানার বিভিন্ন পুলিশ কর্মকর্তারা একাধিক টিম ভাগ হয়ে পরিকল্পনা মাফিক চুরি গাড়ি বদ্ধিারের পাশাপশি চোর চক্র আটক অভিযান শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১০ই জুলাই রাতে পুলিশ পরিদর্শক (অপরেশন) হিরন্ময় সরকারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অফিসার অভিযান চালিয়ে নগরের কাউনিয়া থানাধীন পুরানপাড়া এলাকা থেকে পলাশপুরের ইসলাম নগরের মন্টু হাওলাদারে ছেলে মোঃ জসিম উদ্দিনকে গ্রেফতার করে। এক পর্যায়ে জিজ্ঞাসাকালে সে জানায় ২১ই জুলাই খুলনা থেকে আসা অহিদ মোল্লা, কালা রাজু কাউনিয়া পিছনের স্কুলের বাসার গেটের তালা ভাঙ্গিয়া কালো রংয়ের সুজুকি গ্লাক্সি বাহির করে এনে কালা রাজু ও অহিদ খুলনা নিয়ে যায়। এবং তার স্বাকারোক্তিমতে গাড়িটি খুলনার তেরখাদা থানার সুজনের কাছে রক্ষিত আছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে ১১ই জুলাই দুপুর ১ টার দিকে অভিযান চালিয়ে গ্যারেজের মালিক শ্রী সুজন বৌদ্ধকে গ্রেফতার করা হয়।
পরবর্তী জসিম ও সুজনকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাকালে তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে সুজুকি গাড়িটি খুলনার ফুলতলার মাসুদের হেফজিতে আছে। মাসুদ বর্তমানে গোপালগঞ্জের ফুকরা গ্রামে অবস্থান করছেন। এই ঠিকানা নিয়ে কাউনিয়া পুলিশ পুনরায় খুলনা ত্যাগ করে গোপালগঞ্জের হরিদাসপুর এলাকা থেকে ১১ই জুলাই সকাল সাড়ে ৬ টায় আসামী মাসুদ রানা ও শ্রাবন সরদারকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের জবান বন্ধি নিয়ে বাজাজ পালসার গাড়ি উদ্ধার অভিযানে পুনরায় যশোরের অভয়নগর থানার আকুঞ্জিপাড়া জনৈক মাহমুদের হেফাজতে আছে। অভিযানিক কাউনিয়া থানা পুলিশ আটককৃর্তদের কথা মতে ১১ই জুলাই সন্ধা ৭টার দিকে অভিযান চালিয়ে বরিশাল থেকে চুরি যাওয়া বাজাজ মোটর সাইকেলটি উদ্ধার করতে সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে কাউনিয়া থানা জোনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও পুলিশ অফিসার গন।
উপ-পুলিশ কমিশনার খাইরুল আলম বলেন আটক আন্তজেলা গাড়ি চোর চক্রদের সহ উদ্ধারকৃর্ত গাড়ি আদালতে সোপর্দ করার প্রক্রিড়াধীন রয়েছে। এবং এই চোর চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার অভিযান আমাদের অব্যাহত থাকবে। এব্যাপারে তাদের বিরুদ্ধে পূর্বের গাড়ি চুরির মামলায় আসামী করা হয়েছে।
Leave a Reply