নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বর্ষা মৌসুমে নগরীর কম-বেশি রাস্তায় পানি দেখা যায়। যা বর্ষার শেষ বা দু-একদিনের মধ্যে শুকিয়েও যায়। কিন্তু এর পুরোটাই ব্যতিক্রম চিত্র নগরীর রূপাতলী হাউজিংয়ে। বর্ষা মৌসুম ছাড়াই এখানে বছর জুড়েই থাকে জলাবদ্ধতা। এক দিকে হাউজিংয়ের অভ্যন্তরীণ সড়কের বেহাল দশা অন্য দিকে ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাবে নিষ্কাশন হচ্ছে না জমে থাকা পানি। ফলে গ্রীষ্ম-কিংবা বর্ষা সব মৌসুমেই জলাবদ্ধতার ভোগান্তিতে থাকতে হয় হাউজিংয়ের বাসিন্দাদের। ভুক্তভোগী নগরীর রূপাতলী হাউজিং এলাকার বাসিন্দা শাহীন মৃধা বলেন, ‘বছর জুড়ে জলাবদ্ধতার কারণে আমরা চরম ভোগান্তিতে আছি। ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাবে সামান্য বৃষ্টি হলেই পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে পুরো এলাকা। সাবেক মেয়র মরহুম শওকত হোসেন হিরনের আমলে নির্মিত একটি অসম্পন্ন ড্রেনের কারণে জমে থাকা পানি নামতে পারছে না। ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই পানিতে তলিয়ে যায় গোটা হাউজিং। যার কারণে পানিবন্দী মানুষগুলোর ঘরের বাইরে বের হওয়ার উপায় থাকে না। এমনকি জমে থাকা পানি দূষিত হয়ে ছড়াচ্ছে নানা রোগবালাই।
সরেজমিনে রূপাতলী হাউজিং এর ফটকে গিয়ে দেখা যায়, এলাকাটিতে বছর জুড়ে জলাবদ্ধতার প্রধান কারণ একটি অসম্পন্ন ড্রেন। তৎকালীন মেয়র শওকত হোসেন হিরনের বিদায়ের সাথে সাথে মাঝ পথে থেমে যায় ড্রেনের নির্মাণ কাজ। সেই থেকে আদৌ ড্রেনটির অসমাপ্ত কাজ সম্পন্নে নেওয়া হয়নি উদ্যোগ। স্থানীয়দের দাবি ঠিকাদারের অবহেলায় অসম্পন্ন অবস্থায় ফেলে রাখা একটি ড্রেন থেকে পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় অল্প বৃষ্টিতেও জলাবদ্ধতার চিত্র দেখা যায়। বাধ্য হয়ে সেই জলাবদ্ধ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয় স্থানীয়দের। এমনকি জলাবদ্ধতার কারণে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে রাস্তার দুই পাশের দোকানীদেরও।
এ প্রসঙ্গে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শরীফ মো. আনিসুর রহমান বলেন, ‘সমস্যা পুরানো সেটা আমারও জানা। কিন্তু এর উন্নয়নে বর্তমান মেয়র পদক্ষেপ না নেওয়া পর্যন্ত আমার পক্ষে কিছু করার নেই। এ প্রসঙ্গে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নুরুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে এ বিষয়ে কোন বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
Leave a Reply