ক্যানসার যেকোনো বয়সে, যে কোনো শ্রেণির মানুষের যে কোনো অঙ্গে হতে পারে। আক্রান্ত হতে পারে শিশুরাও। শিশুরা সাধারণত যে ধরনের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে থাকে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোÑ চোখের ক্যানসার, কিডনির ক্যানসার, স্নায়ু ক্যানসার, লিভার ক্যানসার, ও ব্রেইন ক্যানসার।
এ ছাড়া ব্লাড ক্যানসার ও হাড়ের ক্যানসারও হতে পারে। সেøাগান আছে- সূচনায় পড়লে ধরা, ক্যানসার রোগ যায় যে সারা। সব ক্যানসারের বেলায় এটি প্রযোজ্য। শিশুদের চোখের ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণ হলো, চোখের মণি সাদা হয়ে যাওয়া এবং রাতে বেড়ালের চোখের মতো দেখানো।
কিডনি ক্যানসার হলে পেটের যে কোনো পাশে একটি চাকা বা টিউমার অনুভূত হয়। বেশি বড় হলে পেট ফুলে যায়। স্নায়ু ক্যানসার হলে যেখানে হবে, সে স্থান ফুলে যাবে এবং ব্যথা অনুভূত হবে। লিভার ক্যানসার হলে পেটের ডান দিকে পাঁজরের নিচে ফুলে যাবে ও ব্যথা করবে।
ব্রেইন ক্যানসার হলে মাথাব্যথা, হাঁটা-চলায় অসুবিধা, বমি হওয়া, দুর্বল হয়ে পড়া, জ্বর হওয়া, বিনা কারণে রক্ত পড়াসহ বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেবে। হাড়ের ক্যানসার হলে ফুলে যাবে ও ব্যথা করবে।
এসব রোগ সাধারণত ছয় মাস বয়স থেকে ১২ বছরের মধ্যে হয়ে থাকে। রোগ নির্ণয়ের জন্য রোগের বিস্তারিত বিবরণসহ বংশগত কোনো কারণ আছে কিনা জানতে হবে।
শিশুদের ক্যানসারের অনেকটাই বংশগত কারণে হয়ে থাকে। এরপর শারীরিক পরীক্ষা শেষে রক্ত পরীক্ষা এবং কিছু টিউমার মার্কার টেস্ট, যেগুলো ওই নির্দিষ্ট ক্যানসারে থাকে, সেগুলো করতে হবে।
এর পর চোখর ও মস্তিষ্কের ক্যানসার বাদে অন্যগুলোর এফএনএসি (ঋঘঅঈ) করে প্রায় ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে ক্যানসার সঠিকভাবে নির্ণয় করা সম্ভব। সময়মতো সঠিক চিকিৎসা দিতে পারলে ৮০ শতাংশ শিশুর ক্যানসার নিরাময় সম্ভব।
Leave a Reply