কারণে সারাবিশ্ব স্থবির। বিশ্বজুড়ে যখন দেশে দেশে পুঁজিবাজারে ধস তখন প্রযুক্তি জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর আয়ের পালে লেগেছে নতুন হাওয়া। এমন অস্থির পরিস্থিতিতেও প্রযুক্তি জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেক হর্তাকর্তা গড়েছেন টাকার পাহাড়।
মার্ক জাকারবার্গ : সবচেয়ে বেশি পোয়াবারো ফেসবুকের প্রধান মার্ক জাকারবার্গের। ফেসবুকের শেয়ারের দাম গত দুই মাসে প্রায় ৬০ শতাংশ বেড়েছে। ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য ফেসবুক সম্প্রতি ডিজিটাল শপ চালুর ঘোষণা দিলে বিনিয়োগকারীরা তাতে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন।
এপ্রিলের প্রথমদিকে প্রকাশিত ‘ফোর্বস’-এর ২০২০ সালের সেরা ধনীর তালিকায় মার্ক জাকারবার্গের অবস্থান ছিল ৭ নম্বরে। এখন তার সম্পদের মূল্য ৮৬.৫ বিলিয়ন ডলার। ৩৬ বছর বয়সী জাকারবার্গ এখন বিশ্বের চতুর্থ ধনী ব্যক্তি।
জেফ বেজোসের : অঙ্কের হিসাবে লাভবান দ্বিতীয় ব্যক্তি হলেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। করোনা ভাইরাসের কারণে খুচরা বিক্রেতাদের দোকান বন্ধ হওয়ার পর থেকে ই-কমার্স খাতে বাড়বাড়ন্ত। আর এই খাতের বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ২৩ মার্চ থেকে আমাজনের স্টক ২৯ শতাংশ বেড়েছে। ২৩ মাচ থেকে বেজোসের সম্পদের মূল্য ছিল ১৪৬.৯ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ তার সম্পদ বেড়েছে ৩০ বিলিয়ন ডলার।
এ ছাড়া সপ্তাহের শুরুটা ভালোই হয়েছে বিশ্বের অন্যতম ধনী এই ব্যক্তির। হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছেÑ গত সোমবার শুধু একদিনেই বেজোসের সম্পদ ১৩ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে; যা বাংলাদেশি টাকায় ১১ হাজার ২২৭ কোটি ২২ লাখ ১০ হাজার টাকা। সেই সঙ্গে অসধুড়হ.পড়স ওহপ-এর শেয়ারের দামও বেড়েছে ৭.৯ শতাংশ। শুধু জেফ বেজোস নয়, তার প্রাক্তন স্ত্রী ম্যাকেঞ্জি বেজোসও ৪.৬ বিলিয়ন ডলার কামিয়েছেন ওই একদিনেই। এখন তিনি বিশ্বের ১৩তম ধনী ব্যক্তি।
কলিন ঝেং হুয়াং : আয় বৃদ্ধির তালিকায় আছেন চীনের দ্বিতীয় বৃহত্তম অনলাইন মার্কেট প্লেøসের (আলিবাবার পরে) পিন্ডুডুওর প্রতিষ্ঠাতা কলিন ঝেং হুয়াং। পরিবার ও বন্ধুদের মধ্যে ভাগাভাগি করার তার সামাজিক শপিং মডেলটি বেশ কাজে দিয়েছে। পিন্ডুডুওয়ের শেয়ারের দাম ২৩ মার্চ থেকে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। সেই সঙ্গে ৪০ বছর বয়সী হুয়াংয়ের ঝুলিতে যোগ হয়েছে ১৭.৯ বিলিয়ন ডলার। তিনি এখন চীনের তৃতীয় শীর্ষ ধনী ব্যক্তি, যার সম্পদের মূল্য ৩৫.৬ বিলিয়ন ডলার।
এরিক ইয়ুন : করোনাকালে ভিডিও কলিংসেবা জুমের ব্যবহার বেড়েছে বহুগুণে। অনলাইন ক্লাস, অফিসিয়াল মিটিং, কনফারেন্সের জন্য অনেকেই বেছে নিয়েছেন এই অ্যাপটি। তাই প্রতিষ্ঠানটির সিইও’র সম্পদও বেড়েছে। ৬.৯ বিলিয়ন ডলারের মালিক এখন তিনি।
ল্যারি পেজ : গুগলের সহপ্রতিষ্ঠাতা তিনি। তার সম্পদ বেড়েছে ৪ বিলিয়ন ডলার।
সারগেই ব্রিন : তিনি গুগলের আরেক সহপ্রতিষ্ঠাতা। যার সম্পদ এ বছর বেড়েছে ৩.৮ বিলিয়ন ডলার।
স্টিভ বালমার : অবাক করা বিষয় হলো মাইক্রোসফটের সাবেক এই সিইও’র আয় বেড়েছে। চলতি বছর তার সম্পদ বেড়েছে ৯.৬ বিলিয়ন।
Leave a Reply