রাজধানীতে চোরাই গাড়ি উদ্ধারসহ সংঘবদ্ধ চোর চক্রের মূল হোতাসহ ১০ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। আজ সোমবার বিষয়টি জানিয়েছেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (ঢাকা মেট্রো-পূর্ব) কানিজ ফাতেমা।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাড়ি চুরি চক্রের ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি এর ঢাকা মেট্রো-পূর্ব বিভাগ। দীর্ঘদিন ধরে এই চক্রটি ঢাকা মহানগর এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পিকআপ গাড়ী চুরি করে আসছিল।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মো. মাসুম মোল্লা (৪৫) মো. সুমন মিয়া (৩৫) মো. রুবেল মিয়া (৩৮), মো. শহিদুল ইসলাম চোকদার, মো. সাকিব হোসেন, মো. কামরুল ইসলাম, মো. রতন, মোসা. ঝর্না বেগম, মো. শাহিন ও মো. নাজমুল হোসেন।
এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি চোরাই গাড়ি উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সদস্যদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। বর্তমানে সিআইডি’র কাছে এই সংক্রান্তে দুটি মামলা তদন্তাধীন রয়েছে।
সিআইডি জানায়, এই চক্রের সদস্যরা প্রথমে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে কোন গাড়িটি তারা চুরি করবে সেই লক্ষ্য ঠিক করে। পরে সুবিধাজনক সময়ে গাড়িটি চুরি করে এবং তাদের হেফাজতে রাখে। কখনো কখনো তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে লক্ষ্য ঠিক করা গাড়ি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিত।
গাড়ি চুরি করার পর তারা গাড়িতে থাকা মালিকের মোবাইল নাম্বারে ফোন করত। অথবা চুরিকৃত এলাকায় কোনো মোবাইলের দোকানে ফোন করে গাড়ির মালিকের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে জানতে চাইত তাদের কোনো গাড়ি হারিয়েছে কিনা এবং এ সংক্রান্তে থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে কিনা। চক্রটি বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে গাড়ি মালিকের কাছে টাকা দাবি করত এবং দাবিকৃত টাকা সুনির্দিষ্ট বিকাশ নাম্বারে দিয়ে দিলে তারা সুবিধাজনক স্থানে গাড়িটি ফেরত দিয়ে দিত।
সিআইডি আরও জানায়, এই চক্রের সদস্যরা কেউ গাড়ীর তথ্য সংগ্রহ করত, কেউ গাড়ি চুরি করত, কেউ নির্দিষ্ট স্থানে চোরাই গাড়িটি রেখে পাহারা দিত এবং কেউ চক্রটির বিকাশের টাকা নিয়ম বর্হিভূতভাবে লেনদেন করত।
চক্রের সদস্যরা নিজেদের, তাদের আপনজন ও পরিচিতজনদের জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে, সেই পরিচয়পত্রের বিপরীতে একাধিক সিম উত্তোলন করে এই চুরির প্রক্রিয়ার ব্যবহার করত। প্রতিটি চুরির জন্য ব্যবহার করত নতুন মোবাইল ও নতুন সিম কার্ড।
Leave a Reply