ঝালকাঠি প্রতিনিধি ॥ ঝালকাঠির বাসন্ডা নদীর পশ্চিম তীরে অবৈধভাবে মাটি ভরাট করায় নেছারাবাদ মাদ্রাসা কমপ্লেক্স ট্রাষ্টের চেয়ারম্যান মাওলানা খলিলুর রহমানকে কারন দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। নোটিশে ৩ দিনের মধ্যে নদী ভরাটের কারন জানাতে বলেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগ। ২৭ জুলাই ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (অঃদাঃ) দীপক রঞ্জণ দাস স্বাক্ষরিত ১০৯৫ স্মারকের এ নোটিশ ২৮ জুলাই নেছারাবাদ কমপ্লেক্সে পৌছে দেয়া হয়েছে।
নোটিশে উল্লেখ করা হয় ‘বাসন্ডা নদীর ডান তীরে ৩৮০ মিটার দৈর্ঘে স্থায়ী তীর প্রতিরক্ষা কাজ শুরু হয় গত ২০ ফেব্রুয়ারি। শুরুতেই মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ/আপনারা প্রতিরক্ষা কাজ নদীর ভিতরের দিকে এগিয়ে করতে বলেন। এজন্য মাদ্রাসার পক্ষ থেকে নিজস্ব অর্থায়নে নদী তীরের মাটি ভরাট করে দিতে চেয়েছেন। কিন্তু আপনাদের এ কাজ থেকে বারবার বিরত থাকতে বলা হয়েছে। কারন ভরাট মাটিতে তীর প্রতিরক্ষা স্লোপের কাজ ফেল করতে পারে। কিন্তু আপনারা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্দেশনা না মেনে ২১ জুলাই রাতারাতি মাটি ফেলানোর কাজ শুরু করেন। ২২ জুলাই উপ-সহকারি প্রকৌশলী বিভূতি চন্দ্র রায় মুঠোফোনে আপনাদের এ কাজ বন্ধ করতে নেছারাবাদ কমপ্লেক্সের এডি মো. মাহাবুবকে অনুরোধ করেন। এরপরও আপানারা চলমান কাজের চেইনেজের মধ্যে ২৪ জুলাই পূনরায় মাটি ভরাট শুরু করেন। তাই পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঝালকাঠির দপ্তরকে বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখিন হতে হওয়ায় উল্লেখিত সময়ের মধ্যে এর ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে অবৈধ মাটি ভরাটের কাজ বন্ধ করে ব্যাখা চাওয়া হলো না কেন এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাহী প্রকৌশলী (অঃদাঃ) দীপক রঞ্জণ দাস জানান নোটিশে মাটি ভরাটের জবাব চাওয়া মনেই হলো এ কাজ বন্ধ করে ব্যাখ্যা দিতে হবে। ৩ দিনের মধ্যে তারা কি ব্যাখ্যা দেয় তা দেখে পরবর্তি ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় এনএস মাদ্রাসা সংলগ্ন বাসন্ডা নদী তীরে ৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যায়ে তীর প্রতিরক্ষা কাজ চলছে একদিকে অন্যদিকে চলছে অবৈধ ভাবে নদী দখল। এ কাজের সুযোগে রাতের অন্ধকারে ভরে ফেলা হচ্ছে নদী। এ অবস্থায় গত ২৬ জুলাই দুপুর ১২ টায় ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সভা কক্ষে জেলা নদী রক্ষা কমিটির এক জরুরী ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পাউবোর উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহম্মদ ফয়সাল ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় নদী তীর প্রতিরক্ষা কাজের সুযোগ নিয়ে নেছারাবাদ কামিল মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের ভেকু মেশিন দিয়ে বাসন্ডা নদী ভরাটের বিষয়টি উপস্থাপন করেন। জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী বিষয়টি জেনে তাঁকে দ্রুত বাসন্ডা নদী ভরাট বন্ধ করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। এ বিষয়ে উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহম্মদ ফয়সাল বলেন বাসন্ডা খাল থেকে খননযন্ত্র ( ভেকু মেশিন) সরিয়ে না নিলে নির্বাহী ম্যজিষ্ট্রেট দিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে বক্তব্য জানার জন্য নেছারাবাদ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মাওলানা খলিলুর রহমানের মোবাইল নাম্বারে কল দিলে তার সহকারী আব্দুল আলীম বলেন, হজুর মিটিং এ ব্যাস্ত আছেন।
Leave a Reply