নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় আকষ্মিক উজানের ঢলের বন্যায় পানিবন্দি হয়ে ক্ষতিগ্রস্তের শিকার হয়েছে লক্ষাধিক মানুষ। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে শত শত ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, পুকুর ও মৎস্য খামার প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। পানিতে কয়েক কিলোমিটার কাঁচাপাকা সড়ক বিধ্বস্ত হয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষজন। স্থানীয় প্রশাসন বলছেন, ক্ষতিগ্রস্থদের দ্রুত ক্ষতিপূরণ ও রাস্তাঘাট মেরামতে উদ্যোগ নেওয়া হবে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে দক্ষিণ উলানিয়া ইউনিয়ন। উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লক্ষাধিক মানুষের ঘরবাড়ি, গবাদি পশু, কৃষি ফসল ও মৎস্য খামার। আস্তে আস্তে কমছে পানি। সাথে সাথে ভেসে উঠছে বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি, কৃষি, মৎস্য ও যোগাযোগ অবকাঠামোর ক্ষতচিহ্ন। এ অবস্থায় দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও বেড়িবাঁধ এবং রাস্তাঘাট মেরামত করার দাবি জানালেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। নদীর তীরবর্তী গ্রামের একাধিক সড়ক বন্যার পানির প্রবল স্রোতে ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
দক্ষিণ উলানিয়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান লিটন বলেন, ভয়াল মেঘনার অস্বাভাবিক জোয়ারে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তার ইউনিয়ন ধ্বংসস্তুপে পরিনত হয়েছে। তার ইউনিয়নে প্রায় দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি ভেঙ্গে পড়েছে, ১০ কিলোমিটার পাঁকা রাস্তা ভেঙ্গে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, প্রায় ৫/৭শত পুকুর ও ঘেরের মাছ ভেসে গেছে, শত শত হেক্টর জমির ফসল বিনষ্ট হয়েছে, মাছঘাটসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উত্তর উলানিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ইয়াসিন রাজু বলেন, তার ইউনিয়নেও শত শত পুকুরের মাছ, রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ির, এবং ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিজুষ চন্দ্র দে বলেন, উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, ‘এ মুহূর্তে ক্ষতির সঠিক পরিমান বলা যাচ্ছে না। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বলেন, হঠাৎ বন্যায় মেহেন্দিগঞ্জে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, মৎস্য, কৃষি, প্রাণি সম্পদ, বসত ঘরবাড়ি, পাঁকা ও কাঁচা রাস্তাঘাট। এই মুহূর্তে যাদের ঘরবাড়ি ভেঙ্গে পড়েছে তাদের পুনর্বাসন না করা হয় তাহলে মানুষের আরও কষ্ট হবে।
Leave a Reply