লাইফস্টাইল: সিগারেটের মতো দেখতে না হলেও সিগারেটের বিকল্প হিসেবেই ই-সিগারেটের আবির্ভাব। ফ্যাশনেবল হওয়ায় ব্যাটারিচালিত এই যন্ত্রটিতে প্রায়ই টান দিতে দেখা যায় বর্তমান তরুণদের।
লিথিয়াম ব্যাটারির মাধ্যমে কার্টিজে থাকা নিকোটিন, স্বাদ ও গন্ধমিশ্রিত ই-লিকুইড ও প্রপিলিন গ্লাইকল নামক রাসায়নিক পুড়িয়ে মস্তিষ্কে ধূমপানের মতো অনুভূতির সৃষ্টি করে ই-সিগারেট।
গত কয়েক বছর ধরেই তরুণদের মধ্যে ই-সিগারেটের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। অনেকে সিগারেটের বিকল্প হিসেবে কিংবা সিগারেট ছাড়তে হাতে তুলে নিয়েছে এই ডিজিটাল ভ্যাপিং ব্যবস্থা।
বলা হয়ে থাকে ধূমপানে আসক্তি কমাতে ও সিগারেটের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে তামাকবিহীন ই-সিগারেট তুলনামূলক ভালো সমাধান হতে পারে। কিন্তু গবেষণা বলছে ভিন্ন কথা।
ই-সিগারেটে রয়েছে কার্সিনোজেনিক রাসায়নিক পদার্থ। যা ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম কারণ। এছাড়াও ই-সিগারেটে থাকা রাসায়নিক পদার্থ ফুসফুসের রোগ ও শ্বাসযন্ত্রে ইনফেকশন ঘটাতে পারে বলে দাবি করছেন গবেষকেরা।
তামাক থাকে না বলে সাধারণভাবেই মনে হতে পারে সিগারেটের চেয়ে ই-সিগারেট কম ক্ষতিকর। কিন্তু সাধারণ সিগারেটের মতোই ই-সিগারেটেও থাকে ক্ষতিকারক নিকোটিন। তাই এটা মনে করার কোনো কারণ নেই যে ই-সিগারেট আপনার নেশা কাটাবে। বরং গবেষকেরা বলছেন, তরল-নিকোটিন সিগারেটের মতোই আপনাকে নেশাগ্রস্ত করে ফেলতে পারে।
ফলে যারা ট্র্যাডিশনাল ধূমপান এড়াতে তামাক ছেড়ে ই-সিগারেট ধরছেন তারাও স্বাস্থ্যের দিক থেকে মোটেও নিরাপদে নন। আর আপনার আশেপাশের লোকজনও নিরাপদ নয়।
Leave a Reply