বরগুনা প্রতিনিধি ॥ বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরা পারভীনের বিরুদ্ধে অসৎআচরণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি জেলা পরিষদ সদস্য ও আমতলী উপজেলার পৌর যুবলীগ সভাপতি এ্যাডভোকেট আরিফুর হাসান নামের এক ব্যক্তিকে আটক ও ‘জানোয়ারের বাচ্চা’ বলে গালি দিয়েছেন। এ নিয়ে ওই এলাকায় বিক্ষোভ হয়েছে।
আর মনিরা পারভীন জানিয়েছেন, আটক আরিফুর হাসান আমাকে টেবিল ছুড়ে মেরেছে। তিনি আমাকে ধাক্কা মেরেছেন। তাকে আটক করেছি। কিন্তু এখনো কোন আইনগত প্রক্রিয়া শুরু করা হয়নি। জানোয়ারের বাচ্চা বলেছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবের কোন উত্তর দিতে পারেননি ইউএনও। একপর্যায়ে মোবাইলের লাইন কেটে দিয়ে প্রতিবেদকের মোবাইল নম্বরটি ব্লক করে রাখেন।
তার আগে মনিরা পারভীন দাবী করেছেন, শনিবার আমি লঞ্চঘাটে করোনা প্রতিরোধে মাস্ক বিতরণ করতে যাই। তখন সুন্দরবন ৭ লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী নিচ্ছিল। আমি ওই লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে জরিমানার নির্দেশ দিলে লঞ্চের স্টাফ মিলন আমাকে ধাক্কা মারেন। তখন আরিফুর হাসান আমার দিকে টেবিল ছুড়ে মারেন। যদিও টেবিলটি গায়ে লাগেনি। তারপর আমি আরিফকে আটকের নির্দেশ দেই।
অপরাধীকে আটক করা আইনের শাসন, কিন্তু অভিযুক্ত কোন মানুষকে জানোয়ারের বাচ্চা বলা কি শুদ্ধাচারের মধ্যে পরে এমন বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি মুঠোফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মনিরা পারভীনের সাথে জেলা পরিষদ সদস্য ও আমতলী উপজেলার পৌর যুবলীগ সভাপতি এ্যাডভোকেট আরিফুর হাসানের পূর্ব বিরোধ ছিল। তারই জের ধরে শনিবার উভয়ে তর্কে জড়ায় এবং ইউএনও তার ক্ষমতা ব্যবহার করে গালিগালাজ ও আটক করেন। এ ঘটনায় ওইদিন বিকেলে আমতলী পৌর শহরে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করেছে উপজেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। জেলা যুবলীগ সভাপতি এ্যাডভোকেট কামরুল আহসান মহারাজ বলেন, আমতলীর অভ্যান্তরীন রাজনীতির কারনে তাকে আটক করা হয়েছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং তার নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করছি। জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক সাহাবুদ্দিন সাবু বলেন, আমতলীতে কিছুদিন পূর্বে ইউএনওর বিরুদ্ধে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে। এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে আরিফকে আটকের নির্দেশ দিয়েছে ইউএনও। (৯ আগস্ট) রবিবার দুপুর ১ টায় আমতলী থানার ওসির দায়িত্বে থাকা (তদন্ত ) হেলাল উদ্দিন বলেন, আটক আরিফুল হাসানের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ দেয়া হয়নি।
Leave a Reply