বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিরা দেশের ব্যাংকে অর্থ সঞ্চয় করতে পারবেন। মাসিক ও ত্রৈমাসিক কিস্তিতে তারা সঞ্চয়ী হিসাবে টাকা জমা রাখতে পারবেন। রেমিট্যান্স বৃদ্ধি ও প্রবাসীদের সঞ্চয়ে উদ্বুদ্ধ করতে এ সুযোগ দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গতকাল এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ (এফইপিডি)।
প্রবাসীদের জন্য মাসিক কিংবা ত্রৈমাসিক কিস্তিভিত্তিক সঞ্চয় স্কিম প্রবর্তন করার নির্দেশ অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকসহ সব ব্যাংকে অনুমতি দিল বাংলাদেশ ব্যাংক। সঞ্চয় স্কিম বিষয়ে সার্কুলারে কিছু নির্দেশনা রাখা হয়েছে। সঞ্চয় স্কিম এক বছর কিংবা এর অধিক হতে পারবে। বিদেশ থেকে ব্যাংকিং চ্যানেলে কিংবা এক্সচেঞ্জ হাউসের মাধ্যমে প্রেরিত রেমিট্যান্স নগদায়নের মাধ্যমে কিংবা প্রবাসীরা বাংলাদেশে বেড়াতে আসার সময় সঙ্গে আনীত বৈদেশিক মুদ্রা দ্বারা, কিংবা প্রবাসীদের নামে পরিচালিত বৈদেশিক মুদ্রা হিসাবের স্থিতি নগদায়নের মাধ্যমে সঞ্চয় স্কিমে অর্থ জমা করা যাবে।
বিদেশ গমনের আগেই কোনোরূপ জমা ছাড়া এ জাতীয় হিসাব খোলা যাবে বলে সার্কুলারে বলা হয়েছে। আলোচ্য সঞ্চয় স্ক্রিমের ওপর প্রতিযোগিতামূলক হারে মুনাফা/সুদ ব্যাংক প্রদান করতে পারবে। একই সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রা নগদায়নের মাধ্যমে পরিচালিত হিসাব বিবেচনায় মুনাফা/সুদের বিশেষ সহায়তার কথা সার্কুলারে বলা হয়েছে। সঞ্চয় স্কিমের স্থিতি জামানত রেখে ঋণ প্রদান করা যাবে মর্মে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সঞ্চয় স্কিমের মেয়াদ পূর্তিতে হিসাবধারী অনিবাসীর মনোনীত ব্যক্তিকে ব্যাংক উক্ত হিসাবে জমাকৃত অর্থ মুনাফা/সুদসহ দিতে পারবে। তবে বিকল্প ব্যবস্থায় ওই স্থিতি দ্বারা প্রবাসী ব্যক্তি নতুন করে তার নামে স্থায়ী আমানত হিসাব খুলতে পারবেন। স্থায়ীভাবে দেশে চলে আসার পর উক্ত হিসাবের স্থিতি এক কালীন কিংবা পেনশন পদ্ধতিতে মাসিক/ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে হিসাবধারী গ্রহণ করতে পারবেন। সঞ্চয় স্কিম চলাকালে হিসাবধারী দেশে
প্রত্যাবর্তন করলে ও স্থানীয় উৎসের আয় দ্বারা ওই স্কিম নিবাসী হিসাবের মতো পরিচালনা করতে পারবেন। বিদেশে থাকালে উপযুক্ত কারণে অর্থের প্রয়োজন হলে আবেদন দাখিলসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় অর্থ বিদেশে প্রেরণের বিষয় বাংলাদেশ ব্যাংক বিবেচনা করবে বলে সার্কুলারে সুবিধা রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, আলোচ্য উদ্যোগ প্রবাসীদের স্থানীয়ভাবে আর্থিক সুরক্ষা তৈরি করতে সহায়তা করবে। ফলে স্থায়ীভাবে দেশে আসার পর আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না।
Leave a Reply