শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৮ পূর্বাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
তারেক রহমানের বিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি-এম. জহির উদ্দিন স্বপন গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন গৌরনদীতে ইউএনওর নেতৃত্বে স্বেচ্ছাশ্রমে খালের কুচুরিপানা ও ময়লা পরিস্কার করল বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা বর্নাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে গৌরনদীতে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত আমাদের নেতা তারেক রহমান একটি সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চান-জহির উদ্দিন স্বপন মেয়র হারিছ গ্রেপ্তারের খবরে গৌরনদীতে সাধারন মানুষের উল্লাস ফাঁসির দাবিতে বিএনপির বিক্ষাভ মিছিল গৌরনদীতে এইচপিভি টিকা দান ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন কাশিপুরের ড্রেজার ব্যবসায়ী সুমনের অপকর্মে কেউ খুন হলে দায় নেবে না বিএনপি
বানের পানি কমলেও ভোগান্তি এখনো সঙ্গী লক্ষাধিক মানুষের

বানের পানি কমলেও ভোগান্তি এখনো সঙ্গী লক্ষাধিক মানুষের

ঢাকার দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলার পদ্মা নদীর তীর ও নিম্নাঞ্চলের প্রায় ৫০ হাজার পরিবারের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছিল। পানিতে তলিয়ে গেছে ফসলি জমি, ঘরবাড়ি ও বিভিন্ন রাস্তাঘাট। বর্তমানে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। ফলে বানের পানি কমতে শুরু করেছে। কিন্তু দীর্ঘদিন পানিতে ডুবে থাকা ঘরবাড়ি এখনো বসবাসযোগ্য হয়নি। বেশিরভাগ ঘরেই রয়েছে বন্যার পানি। তাই মাচা পেতে, না হয় অন্যত্র গিয়ে থাকতে হচ্ছে তাদের।

ঢাকার বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানান, প্রবল বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের কারণে হঠাৎ দেশের বিভিন্ন নদ-নদীর মতো পদ্মায়ও পানি বৃদ্ধি পায়। এতে নি¤œাঞ্চলগুলোয় বন্যা দেখা দিয়েছে। কিন্তু এখন পানি কমতে শুরু করেছে।

সরেজমিন দেখা যায়, দোহার উপজেলার মাহমুদপুর, বিলাসপুর, নারিশা, মুকসুদপুর ইউনিয়নের পদ্মা তীরবর্তী এলাকার প্রায় ৩০ হাজার পরিবার এখনো পানিবন্দি। বেশিরভাগ বাড়ি পানিতে ডুবে আছে। কোথাও হাঁটু পানি, আবার কোথাও কোমর পানিতে ডুবে আছে ঘরবাড়ি। হাটবাজার, স্কুল, কলেজ, মাদরাসা সর্বত্রই এখনো পানিতে থই থই করছে।

উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের রাধানগর, কুলছুরি, কুতুবপুর, রামনাথপুর, হাজারবিঘা এলাকার সড়ক ও ঘরবাড়ি বানের পানিতে তলিয়ে আছে। এ ছাড়া সুতারপাড়া মধুরচর, দোহার খালপাড়, আল-আমিন বাজার, গজারিয়া, পশ্চিম পুরসুতারপাড়া, মুকসুদপুরের পদ্মা তীরবর্তী এলাকাগুলো প¬াবিত। একই অবস্থা কুসুমহাটি ইউনিয়নের চরকুশাই, চরকুসুমহাটি, চরসুন্দরীপাড়া এলাকায়।

মাহমুদপুর এলাকার রুকন মিয়া বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে পদ্মার পানি কিছুটা কমছে। কিন্তু তাতে কী হবে, ঘরে তো এখনো থাকার অবস্থা নেই। বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে খুব কষ্টে আছি।

একই এলাকার কাঁচা সবজি বিক্রেতা সবুজ বলেন, ‘রাস্তা ও বাজার এখনো পানির নিচে। তাই ব্যবসা বন্ধ। পোলাপানগো নিয়া কী করমু, কী খামু, বুঝতে পারছি না।’

নবাবগঞ্জ উপজেলার জয়কৃষ্ণপুর এলাকার আবদুল করিম বলেন, ‘এবার হঠাৎ বন্যা হওয়ায় আমাদের বাড়িঘর ডুবে গেছে। বাড়িতেই মাচা বানিয়েছি। দিন এনে দিন খাইতাম। কিন্তু এখন তো আর কাজ কামনাই। আমরা এখন অসহায়।’

দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএফএম ফিরোজ মাহমুদ ও নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এইচএম সালাউদ্দিন মনজু আমাদের সময়কে বলেন, পানিতে প¬াবিত হওয়া এলাকাগুলোতে সরকারি সহায়তা অব্যাহত রয়েছে। পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com