বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন বলেশ্বর নদীর পাড় পদ্মা এলাকা থেকে জলদস্যু কামাল হোসেনকে পাঁচটি দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে দক্ষিণ স্টেশন কোস্টগার্ড ও পাথরঘাটা থানা পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে যৌথ অভিযানের মাধ্যমে এগুলো উদ্ধার করা হয়। আটক কামাল হোসেন সদর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের মৃত্যু জালাল উদ্দিন সিকদারের ছেলে।
দক্ষিণ স্টেশন কোস্টগার্ড কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মেহেদী হাসান দৈনিক আমাদের সময়কে বলেন, ‘বলেশ্বর নদীর তীরে অস্ত্র বেচাকেনা হচ্ছে- এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা সন্ধ্যা ছয়টার দিকে অভিযান শুরু করে কামাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করি। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার বাড়ির সামনে ওয়াপদার পুকুর থেকে তিন ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে পাঁচটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।’
লেফটেন্যান্ট মেহেদী হাসান আরও বলেন, ‘৬৫ দিনের মৎস্য আহরণ বন্ধ শেষে যখন জেলেরা সাগরে নির্বিঘ্নে মৎস্য শিকারে ব্যস্ত ঠিক তখনই উপকূলীয় এলাকায় কিছু বিচ্ছিন্ন জলদস্যু সংঘবদ্ধ হতে চেষ্টা করে যাচ্ছে। তবে দক্ষিণ স্টেশন কোস্টগার্ড জলদস্যু দমনে সক্রিয় ভূমিকা রাখায় তারা বারবার আমাদের জালে ধরা পড়ছে।’
আটককৃত কামাল নিজেকে সাবেক জলদস্যু জামাল বাহীনির সদস্য হিসেবে স্বীকার করেছেন। জলদস্যু জামাল দু’বছর আগে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়।
এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জলদস্যু কামাল হোসেন দীর্ঘদিন এলাকার বাইরে ছিলেন। কিছুদিন আগে পাথরঘাটা এসে পাথরঘাটা পৌর এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে মাছ শিকার করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করছিলেন। তার অন্যান্য সহযোগীরা ইতিপূর্বে র্যাবের কাছে আত্মসমর্পণ করলেও কামাল হোসেন আত্মসমর্পণ করেনি বলে জানা যায়।
পাথরঘাটা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাঈদ আহমেদ জানান, কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাকে আজ শনিবার আদালতে হাজির করা হবে।
Leave a Reply