শামীম আহমেদ, পটুয়াখালী ॥ পটুয়াখালী সদর উপজেলার বড় বিঘাই ইউনিয়নের দক্ষিণ কেওয়াবুনিয়া স্বেচ্ছাসেবক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন এর মৃত্যুতে ঐ বিদ্যালয়ের সভাপতির পদটি শূন্য হয়। শূন্য পদে সভাপতি পূণ নিয়োগ নাদিয়ে অবৈধ ভাবে শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন ভাতা তোলা নিয়ে গত২৭ শে জুলাই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড বরিশাল বরাবর সাবেক সভাপতির ছেলে মঈনুল একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয় সাবেক সভাপতি গত ২৬শে ফেব্রুয়ারি ইন্তেকাল করায় সভাপতির পদটি শূন্য হয়। এ অবস্থায় ঐ মেয়াদের জন্য ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির পদটি শূন্য থাকায় বোর্ডকে অবহিত করা প্রয়োজন। কিন্তু তারা বোর্ডকে অবহিত নাকরে প্রধান শিক্ষক মোঃ শফিকুল ইসলাম (শানু) অবৈধ ভাবে নিজ ক্ষমতাবলে বেতন ভাতাদি তুলে আসছে যা সম্পুর্ণ আইনবহির্ভূত কাজ। এটা তিনি কোন ভাবে করার অধিকার রাখে না। অভিযোগে তিনি আরও লিখেছেন যে,পূণরায় সভাপতি নির্বাচনের বিষয় ম্যানেজিং কমিটির বাকি সদস্যরা জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক টালবাহানা শুরু করে। গত ৯ ই আগস্ট অপর এক আবেদনে বলা হয়েছে যে,বিগতদিনে সভাপতির শূন্য আসনের বিষয় একাধিক বার জানতে চাইলে ও প্রধান শিক্ষক গরিমশি করলেও পরে হঠাৎ জানায় যে,প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম তার আপন চাচা আঃ লতিফ মাস্টারকে সভাপতি নির্বাচিত করেছেন যেটা সম্পুর্ন আইনবহির্ভূত। আর এ বিষয় ম্যানেজিং কমিটির বেশিরভাগ সদস্যই অবগত নয়। এলাকাবাসী বলছে যে প্রধান শিক্ষক তার আপন চাচাকে সভাপতি নিয়োগ দিয়ে আগামীতে স্কুলের নিয়োগ বানিজ্য সহ অবৈধ ভাবে বিদ্যালয় সহ বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট অর্থ আত্মসাত করার পায়তারা করছেন। জদিও বর্তমান সভাপতির মেয়াদকাল হবে আগামী ২৩শে মার্চ ২০২১। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির একাংশ মনেকরছেন আইনবহির্ভূত ভাবে প্রধান শিক্ষক নিজে কখনো এভাবে সভাপতি নির্ধারন করতে পারেন না। এলাকাবাসী ও অত্র বিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সকলে এহেন ও ঘৃনিত কাজের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে পূণরায় ম্যানেজিং কমিটির বর্তমান মেয়াদকালের জন্য বিধিমালা মোতাবেক সভাপতি নির্ধারন করা হোক। অন্যথায় বহুবছরের পূরনো বিদ্যালয়টির ভাবমূর্তি খুন্ন হওয়া সহ বিদ্যালয়ের অর্থ লোপাট ও নিয়োগ বানিজ্যের সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিষয় জানতে প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম (শানু) এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply