মেহেন্দিগঞ্জ প্রতিবেদক ॥ ॥ মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার আলীমাবাদ ও চরগোপালপুর ২টি ইউনিয়নের মোহনায় মোস্তফা বাজার সংলগ্ন প্রায় ১০ একর খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ ও অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বাঁধ নির্মান এবং বালু উত্তোলনের ফলে তীব্র পানির স্রোতে আলীমাবাদের কাজীরহাটের খাল ভেঙ্গে হচ্ছে নদী, বিলীন হয়েছে ওই খালের উপর থাকা ব্রিজ, একাধিক বসত ভিটা, প্রায় ৩ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা, বিচ্ছিন্ন হয়েছে চরের সাথে যোগাযোগ। অমাবশ্যার জোয়ারে ও অতিবৃষ্টির কারণে পানি নামতে না পারায় প্লাবিত হয়েছে ৪টি মৌজা, পানিবন্ধি হাজারো পরিবার, মরছে গবাদি পশু। স্থানীয়দের দাবী বাঁধ অপসারণ ও এই অঞ্চলের অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করার। তা না হলে অচিরেই আলীমাবাদ ইউনিয়নের মানচিত্র থেকে বিলীন হয়ে যাবে ৪টি মৌজা। ভাঙ্গন আতংকে রযেছে প্রায় ৩ হাজার পরিবার। এদিকে এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে আলীমাবাদ ইউনিয়নের জনগনের পক্ষ থেকে ইউসুফ বাঘা নামের জনৈক ব্যক্তি মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানা অফিসার ইনচার্জ বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে জানা যায়, খালে অবৈধ ভাবে বাঁধ দেয়া হয়েছে জনৈক্য সিরাজ ফকির, দুলাল মৃধা ও খালেক ফকির’র নেতৃত্বে। আর অবৈধ ভাবে বালু উত্তোনরে অভিযোগ স্থানীয় হুমায়ুন বয়াতী, বাবুল বয়াতী ও কাওসার সহ আরো অনেকের বিরুদ্ধে। খালে বাঁধ নির্মান আর বালু উত্তোলনে প্রশাসনের কোন প্রকার অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে স্বীকার করেন অভিযুক্তদের কেউ কেউ।
এমন কি স্থানীয় এমপি পংকজ নাথ’র নির্দেশ অমান্য করা হয়েছে বলেও জানান এলাকাবাসী। এ নিয়ে স্থানীয়দের সাথে ক্ষতিগ্রস্ত ওয়ার্ডের মেম্বারদ্বয় ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে প্রতিকার না পেলে উপরস্থ কর্মকর্তাদের দ্বারস্থ হবো এবং যে কোন মূল্যে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ ও বাঁধ অপসারণ করা হবে। চরগোপালপুর ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, আমার ইউনিয়নের মোস্তফা বাজার রক্ষায় খালে বাঁধ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন বাঁধের চেয়ে ওই ইউনিয়নের বেশি ক্ষতি হচ্ছে নির্বিচারে অবৈধ বালু উত্তোলনের কারনে। এ বিষয়ে মেহেন্দিগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ আবিদুর রহমান বলেন, অভিযোগের বিষয়ে সততা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পীযুষ চন্দ্র দে বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply