করোনায় চলতি অর্থবছরে ছয় রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকের মামলা নিষ্পত্তির লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে দেয়া হয়েছে। গত ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে এই ব্যাংকগুলোর জন্য মামলা নিষ্পত্তির লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়েছিল চার হাজার ৭২০টি; কিন্তু চলতি অর্থবছরে ছয় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মামলা নিষ্পত্তির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তিন হাজার ৪৭৯টি। এক বছরের ব্যবধানে মামলা নিষ্পত্তির টার্গেট কমানো হয়েছে এক হাজার ২৪১টি।
সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সঙ্গে সম্পাদিত ‘বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি’র (এপিএ) আওতায় রাষ্ট্রায়ত্ত ছয়টি বাণিজ্যিক (সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী, বেসিক ও বিডিবিএল) ব্যাংককে চলতি অর্থবছরে এসব মামলা নিষ্পত্তি করতে হবে বলে জানা গেছে।
চুক্তি শর্ত অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে সোনালী ব্যাংককে তিন ক্যাটাগরির মোট ১ হাজার ৩৯০টি (এর মধ্যে রিট মামলা ৪০টি, অর্থ ঋণ মামলা ৩৫০টি এবং বিভাগীয় ও অন্যান্য ১,০০০টি) মামলা নিষ্পত্তি করতে হবে। গত অর্থবছরে মামলা নিষ্পত্তির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ২৭৯টি (এর মধ্যে রিট মামলা ২৭৯টি এবং বিভাগীয় ও অন্যান্য মামলা ২,০০০টি)।
জনতা ব্যাংককে মোট ১ হাজার ৮০টি (এর মধ্যে রিট মামলা ৮০টি, অর্থঋণ মামলা ১৫০টি এবং বিভাগীয় ও অন্যান্য ৮৫০টি) মামলা নিষ্পত্তি করতে হবে। গত অর্থবছরে মামলা নিষ্পত্তির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার (এর মধ্যে রিট মামলা ১০০টি এবং বিভাগীয় ও অন্যান্য মামলা ৯০০টি)।
অগ্রণী ব্যাংককে মোট ৩২৬টি (রিট মামলা ৬০টি, অর্থঋণ মামলা ২৫০টি এবং বিভাগীয় ও অন্যান্য ১৬টি) মামলা নিষ্পত্তি করতে হবে। গত অর্থবছরে মামলা নিষ্পত্তির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯৫৬টি (এর মধ্যে রিট মামলা ১০৭টি, অর্থ ঋণ মামলা ৮৩৩টি এবং বিভাগীয় ও অন্যান্য মামলা ৯০০টি)।
রূপালী ব্যাংককে মোট ৩৫৭টি (রিট মামলা ৩৫টি, অর্থঋণ মামলা ২৯২টি এবং বিভাগীয় ও অন্যান্য ১৩০টি) মামলা নিষ্পত্তি করতে হবে। গত অর্থবছরে মামলা নিষ্পত্তির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩২৭টি (এর মধ্যে রিট মামলা ৩৫টি ও অর্থঋণ মামলা ২৯২টি)।
বেসিক ব্যাংককে মোট ৯৫টি (রিট মামলা ৩০টি, অর্থঋণ মামলা ৪০টি এবং বিভাগীয় ও অন্যান্য ২৫টি) মামলা নিষ্পত্তি করতে হবে। গত অর্থবছরে মামলা নিষ্পত্তির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮৮টি (এর মধ্যে রিট মামলা ৪৩টি ও অর্থ ঋণ মামলা ৪৫টি)।
বিডিবিএল ব্যাংককে মোট ১৩১টি (রিট মামলা ২৫টি, অর্থ ঋণ মামলা ৯০টি এবং বিভাগীয় ও অন্যান্য ১৬টি) মামলা নিষ্পত্তি করতে হবে। গত অর্থবছরে মামলা নিষ্পত্তির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭০টি (এর মধ্যে রিট মামলা ৪০টি এবং বিভাগীয় ও অন্যান্য মামলা ৩০টি)। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের এক কর্মকর্তা গতকাল জানিয়েছেন, লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হলে মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো উল্লেখ করার মতো কোনো অগ্রগতি দেখাতে পারেনি। কিছু ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর আইন বিভাগের অদক্ষতা কাজ করেছে। এ ছাড়াও আর কিছু কারণে এই অবস্থা হয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
Leave a Reply